এখন বর্ষা মৌসুম, আষাঢ় মাসও শেষের দিকে। তবে আরও কয়েকদিন পর লাগাতার বৃষ্টি হতে পারে। ফলে রোদ-বৃষ্টির অন্যতম অনুষঙ্গ ছাতার ব্যবহার বর্ষাকালে বেড়ে যায়। ২ দিন হলো খন্ড খন্ড বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ছাতার চাহিদা বাড়ছে। যাদের ছাতা নষ্ট তারা ছাতার মেরামতকারীদের কাছে এবং যাদের ছাতা নেই তারা নতুন ছাতা কিনছেন। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে ঠাকুরগাঁও ছাতা বিক্রেতা ও মেরামতকারীদের বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ছাতা কারিগর ও ব্যবসায়ীরা জানান, আষাঢ় মাস শেষ হতে চলেছে। ইতোমধ্যে ছাতার বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে। ফলে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে ছাতা মেরামতের কাজ।

শহরের বিভিন্ন ছাতার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ও সাধারণ ক্রেতারা দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি ছাতা। শিশু ও নারীদের জন্য আছে বাহারি নকশার ছাতা।

সদর উপজেলার বিশ্বাষপুর থেকে ছাতা মেরামত করতে আসা কুদ্দুশ আলী বলেন, বর্ষাকাল যখন তখন বৃৃষ্টি হবে। তাই ছাতা থাকা খুবই জরুরী। গত বছরের ২টি ছাতার একটু সমস্যা আছে। সেটাই ঠিক করতে এসেছি।

রানীশংকৈল থেকে ছাতা কিনতে আসা ডাঃএস,কে জাকারিয়া বলেন, বর্ষাকাল চলে এসেছে এখন দেখা যাবে যখন তখন বৃষ্টি হবে। তাই চলে এলাম ছাতা নিতে আমার নাতনী ‘সাদিয়া হাসনাত মিথি ‘ একটি কিন্টারগার্ডেন স্কুলে পড়ছে । স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। তার জন্য ছাতা নিব। এখন বৃষ্টির সময়, তাই পরিবারের সবার জন্য ছাতা কিনতে এসেছি।

ছাতা মেরামতকারী মোঃ রাকিব জানান, বছরের অন্যান্য সময়ে ছাতার প্রয়োজন কম থাকে। তখন অন্য কাজ করেন। বর্ষাকালে ছাতা মেরামত করার চাহিদা বেশী থাকে। তাই এসময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাতা মেরামত করেন। কয়েকদিন হলো ছাতা মেরামতের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে ২ দিন হলো আরো বেশী কাজ করতে পারছে। ভালই আয় হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।

ষ্টেশন রোডে ফুটপাতে কাজ করেন জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, আসছে শ্রাবন-ভাদ্র মাস। এসময় যখন তখন বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে। তাই এখন ছাতা মেরামতের কাজ বেশী হচ্ছে। ছেলে, মেয়েসহ সকল বয়সি মানুষ আসছে ছাতা মেরামত করতে।

একজন ছাতা মেরামতকারী জানালেন, প্রতিবছরই তারা বর্ষাকালে ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন। তাদের অধিকাংশই আসেন দিনাজপুর জেলা হতে।

শহরের চৌরাস্তায় ছাতা ব্যবসায়ি, মোঃআবু হেলাল জানান, আমাদের এখানে খুচরা ও পাইকারি ছাতা বিক্রি হয়। সকল বয়সি মানুষ আসছে। বাজারে বাচ্চাদের জন্য রং-বেরংয়ের আকর্ষনীয় ছাতাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছাতা বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে ফোল্ডিং ছাতার চাহিদা বেশি, যা চীন থেকে আমদানি করা হয়। তবে ভাঁজহীন দেশি ছাতা ১৫০-৩৫০ টাকা, দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা ২৫০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।