আলাউদ্দিন হোসেন, পাবনা জেলা সংবাদদাতা;  জেলার ভাঙ্গুড়ায় করোনা আক্রান্তের খবর শুনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এক যুবক।

গত বুধবার (২৭ মে ২০২০)  গভীর রাতে ভাঙ্গুড়া মডেল সরকারী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠান কোয়ারেন্টিন থেকে তিনি পালিয়ে যান।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত যুবক ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। সে ঢাকা ফেরত একজন ইটভাটার শ্রমিক। এনিয়ে ভাঙ্গুড়ায় মোট সাতজনের দেহে করোনা সনাক্ত হলো। তবে বুধবার রাতে এদের মধ্যে প্রথম আক্রান্ত দুইজনের করোনা নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত ওই যুবক ঢাকার সাভার এলাকায় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ২২ মে ঈদের ছুটিতে তিনি ভাঙ্গুড়া আসেন। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জানলে তাকে ভাঙ্গুড়া মডেল সরকারি হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এসময় তার শরীরে কোনো প্রকার করোনা উপসর্গ ছিলনা। এরপরেও ২৩ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। তখন থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত ওই ব্যক্তি সহ আরো ৬ জন ওই বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এক পর্যায় বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির করোনা আক্রান্তের বিষয়টি শনাক্ত করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। এতে রাতেই ওই যুবক নিজের করোনা আক্রান্তের খবর শুনে কোয়াারেন্টিন থেকে পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন; পাবনা থেকে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জে কর্মস্থলে যোগ দিলেন করোনা রোগী

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে ২০২০)  সকালে স্বেচ্ছাসেবীরা ওই বিদ্যালয়ে খাবার দিতে গেলে তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে তারা বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে অবগত করেন।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম জানান, করোনা আক্রান্ত যুবকের পালিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে প্রশাসনের সকলেই উদ্বিগ্ন। তাকে খুঁজে বের করতে পুলিশ সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তর অভিযান শুরু করেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৭ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯টি ল্যাবের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করেছি ৯ হাজার ২৬৭টি। পূর্বেরসহ নমুনা পরীক্ষা করেছি ৯ হাজার ৩১০টি। এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ২ হাজার ২৯ জন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৩২১ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।’ গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ১৫ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ৫৫৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ৫০০ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।’

আমাদের বাণী ডট কম/২৮  মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।