মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা; ধান চাষ করে কৃষক প্রতি বছর লোকসানের মুখোমুখি হওয়ায় এবার ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকদের। আমন ধান চাষ করে এ মৌসুমের কোন কোন কৃষক তার ধানের চাষে লাগানো পুজি দাড় করতে পারনি। এবার বোরো ধানের মৌসুমে শীতের প্রকোপে ধানের বীজ তলা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা কৃষকের বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

সার, তেল , শ্রমিক খরচ সব কিছু মিলিয়ে এবারো বরো ধানের মৌসুমে লাভ হবে কিনা এজন্য বোরোধান চাষে অনেক কৃষক অনিহা প্রকাশ করেছে। ২১ নং ঢোলার হাঁট ইউনিয়নের লুৎফর রহমান বলেন- কি হেউত আর কি বোরোধান,ধান চাষ করলেই ফকির। এবার আমি বোরোধানের তিন বিঘা (৫০শতাংশ) মাটিতে এন এইচ ৭৭২০ ভূট্টা লাগাইছি। ভূট্টার আবাদে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি। এক

কৃষক জানান, আমাদের এলাকায় কমবেশি ভূট্টা চাষে সবাই আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে সালন্দর ইউনিয়নের কৃষক ফজর আলী জানান-আমাদের এলাকায় বেশি ভাগই ভূট্টা চাষ করে আসছেন। শুধু মাত্র রোপা আমন মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষ করে । বোরো মৌসুমে বেশির ভাগ কৃষক ভূট্টা চাষ করে থাকে। ভূট্টা চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি। ১০ নং জামালপুর ইউনিয়নের কৃষক পরেশ জানায় ধান চাষে তেমন লাভ হয় না। মুখের ভাতের জন্য আমি এক বিঘা(৫০ শতাংশ) বোরো ধান লাগাবো। আমি দুই বিঘা ভূট্টা লাগাইছি। ভূট্টায় ধানের চেয়ে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি।

রায়পুর ইউনিয়নের কৃষক জাহিদ বলেন, আমাদের এলাকায় বরাবরই ধান চাষ ভলো হয়। আমাদের এলাকা জমিতে বিঘায় ৩৫- ৪০ মন ধান ফলন আসে। ধানের দাম মৌসুমে না পাওয়ায় ও ভূট্টায় লাভ বেশি পাওয়ায় এলাকার কৃষক ভূট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বালিয়ার কৃষক আলম বলেন রোপা আমন ধান আমাদের এলাকার সব কৃষক আবাদ করে। বোরো ধানের মৌসুমে এলাকার প্রায় অনেক কৃষক ভূট্টা আবাদ করে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ বছর যে ভুট্টা চাষ করছে কৃষক তাতে লক্ষ্য মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।