মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা; ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলায় এই প্রথম রাজাগাঁও ইউনিয়নে ‘মুক্তিযুদ্ধ অদম্য কর্ণার’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।  রবিবার বিকেলে রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ‘মুক্তিযুদ্ধ অদম্য কর্ণার’ এর উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, রাজাগাঁও ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও মাদক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। এবার ইউনিয়ন পর্যায়ে এই প্রথম রাজাগাঁও ইউনিয়নে ‘মুক্তিযুদ্ধ অদম্য কর্ণার’ নির্মাণ করা হলো। এজন্য এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলামকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অরুনাংশু দত্ত টিটো, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ। সরকারের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের অর্থায়নে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজাগাঁও ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধ অদম্য কর্ণারের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ নতুন প্রজন্মের চেতনাবোধ জাগিয়ে তুলতে ‘মুক্তিযুদ্ধ অদম্য কর্ণার নামের এই গ্যালারী নির্মিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, পাক হানাবাহিনীর বর্বরতা-গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ভয়াল দৃশ্য, বুদ্ধিজীবী হত্যা, মুক্তিযুদ্ধের দলিল পত্র, পাকবাহিনীর আত্মসমর্পনের চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে গ্যালারীতে। একই সঙ্গে প্রদর্শিত হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের নানা তথ্য চিত্র। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাশের উন্নয়নের চিত্র ও আগামী উন্নয়নের ডেল্টা প্লান।

রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও নতুন প্রজন্মকে উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত করতেই ‘মুক্তিযুদ্ধ অদম্য কর্ণার’ স্থাপন করা হয়েছে। আমি চাই এই ধরনের কর্ণার প্রত্যেকটা ইউনিয়নে স্থাপন করা হোক। তাহলে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।