নিখোঁজের ৪ দিন পরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমনা হকের(৯) হত্যাকারী কিশোর রিয়াজ আহম্মেদ কাননের কঠোর শাস্তির দাবীতে সড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীরা মিলে বড়মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ বের করে। বিক্ষোভটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের চৌড়াস্তা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে জেলা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শাতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য – ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় ইয়াসিন হাবিব কাননের বাসার একটি রুম থেকে মাটি খুঁড়ে শিশু সুমান হকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত সুমনা হক শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার জুয়েলের মেয়ে ও সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো। অপরদিকে আটককৃত রিয়াজ আহম্মেদ একই এলাকার ইয়াসিন হাবীব কাননের ছেলে ও সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। পুলিশ জানায়, ১৬ ডিসেম্বর নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় সুমনা নামের এই শিশুটি। পরে তার বাবা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে । এরপর মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান পাশের বাসায় খেলতে যায় শিশুটি। তারপর থেকেই তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। তারপর থেকেই এই এলাকার ইয়াসিন হাবীব কাননের বাসায় নজরদারি শুরু করা হয়। অবশেষে ইয়াসিন আলীর ছেলে রিয়াজকে সন্ধেও হলে ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে তাকে জিজ্ঞাবাদের মাধ্যমে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে সে। এরপর তথ্য মতে তার বাসার একটি রুমের ভিতরে মাটি খুঁড়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতী চলছে বলেও জানান, ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান। তবে কি কারনে এই হত্যা করা হয়েছে তা এখনো সঠিক বলা যাচ্ছে না । ময়না তদন্ত করার পরে জানা যাবে। অপরদিকে হত্যকারী ছেলেটির দ্রুত কঠোর শাস্তির দাবী করেছেন নিহত শিশু সুমনার পরিবার সহ এলাকাবাসীরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।