বুয়েটে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা ছেড়েছেন। তিনি ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকা কলেজ ছেড়ে এখন থেকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়বে ফায়াজ।

মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে সে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, আবরারের ছোট ভাইয়ের ছাড়পত্র হয়ে গেছে। সে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়বে। বিশেষ ব্যবস্থায় সে আজকে আবেদন করেছে এবং আজকেই তার ছাড়পত্র মঞ্জুর করা হয়েছে।

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ফায়াজকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করা হবে।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদির বলেন, কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে আসন শূন্য। আসামাত্রই তাকে ভর্তি করানো হবে। এটা খুবই স্পর্শকাতর ও এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

এর আগে ফায়াজ বলেছিলেন, ঢাকায় তার দেখাশোনা করতেন বড় ভাই আবরার। তার অনুপস্থিতিতে এখন সেখানে তিনি কীভাবে থাকবেন?

তিনি বলেন, আমি ঢাকাতে গিয়েছি ছয় মাস। এই ছয় মাসে যদি আমাদের দুজনের সম্পর্কের কথা বলতে হয়, তাহলে দুজনের সম্পর্ক একশোতে একশো। হয়তো মাঝে মধ্যে মনোমালিন্য হতো। ভাইয়া সেখানে আমার গার্ডিয়ান ছিলো। সেই তখন থেকেই, এমনকি লাস্ট কয়েকদিন আগেও, মানে মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেও ফিল হতো-যে বাবা-মা না থাকলেও খুব একটা সমস্যা হবে না। আমার ফ্রেন্ডদেরও তাই বলতাম। আমি আব্বু-আম্মুকে সব কথা না বললেও বা আমার সব ফ্রেন্ডের সাথে অতটা ফ্রি না হলেও আমার ভাইয়া আমার ব্যপারে সব জানতো এবং আমিও ওর ব্যপারে সব জানতাম।

প্রসঙ্গত, ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) ছাত্র আবরার ফাহাদকে। রাত ৩টার দিকে হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।