গ্রামে গঞ্জে ক্যান্সারের ন্যায় আক্রমন করেছে মাদক। যে সময়ে তরুণরা অনলাইনে ব্যস্ত সময় কাটায়। বই পড়া থেকে দূরে, সে সময় তাহমিনা রিতার উদ্যোগে নোয়াখালীর সেনবাগে গড়ে তুলেছে সেনাবাগ পাঠাগার নামে অরাজনৈতিক সংগঠন “সেনবাগ পাঠাগার”।

সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রবি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব সুজনদের নেতৃত্বে এক ঝাঁক উদ্যোমী তরুণ গড়ে তোলে কলেজ রোড সেনবাগ খায়ের ম্যানসনের নীচতলায় সেনবাগ পাঠাগার। বছরের ক্যালেন্ডার পরিবর্তন এর সাথে সাথে নানা রকম মানবাধিকার,সামাজিক কর্মকান্ডে এগিয়ে যাচ্ছে এই সংগঠনটি।

এসেছে পরিচালনা পরিষদে পরিবর্তন সময়ের প্রয়োজনে।তাহমিনা রিতার দৃঢ় প্রত্যয়ে বলিষ্ট প্রত্যয়ে ধরে রেখেছে হাল।পরিচালনায় এসেছে নতুন সভাপতি জুলফিকার জয়,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আজিম উদ্দিনদের নেতৃত্বে বহুমুখী পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। পাঠাগারের উদ্দেশ্য বই পড়ায় আকৃষ্ট করা হলে তারা সীমাবদ্ধ গন্ডিতে থাকতে নারাজ।ধর্মীয় মূল্যবোধ,সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতিটি শাখায় বিচরন করে সমাজেরর ঝরে পড়া বিবেক,শিক্ষা বিমুখ প্রজন্মকে শিক্ষা উদ্ধুদ্ধ করে বিনোদন প্রণোদনায় শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ভুমিকা রাখতে চায়।তাইতো তারা ছুটে যায় স্কুল,কলেজ মাদ্রাসায়। ফ্রি কোচিং,মডেল টেষ্ট,পাঠাগারে রাখতে চায় ক্লাসের সাহায্যকারী বই সমুহ। এর মাধ্যমে উৎসাহী করতে চায় শিক্ষার্থীদের।থাকতে চায় সেনবাগের আদি সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রগতি,কলকন্ঠ,সেনবাগ লেখক ফোরাম সহ সেনবাগের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক বাহক সেনবাগ শিল্পকলা একাডেমীরর সাথে। সেনবাগ প্রেসক্লাব সহ শিক্ষিত সুধীজন,পাবলিসা, উদারচিন্তার ব্যাবসায়ী, সমাজকর্মীদের পাশে চায় এই উদিয়মান উদ্যোমী তরুনেরা।

সেনবাগের নবাগত ইউএনও মিনাহাজুর রমান, এসি ল্যান্ড রক্তিম চৌধুরী, ওসি মিজানুর রহমান ইতিমধ্যে আশা জাগানিয়া সাহস দিয়েছেন পাশে থাকার।মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন শিক্ষা ও মেধা বিকাশের প্রতিটি পদক্ষেপে পাশে থাকবে প্রশাসন।

দীর্ঘ তিন যুগের বেশী সময় ধরে এম এ আউয়াল একাই লড়াই করছেন শিল্পকলা সাহিত্য সাংস্কৃতি নিয়ে।তিনি তাদের এই অংশ গ্রহনকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন।একসাথে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন। সেনবাগ পাঠাগারের অন্য উপদেষ্টা শিক্ষক আবুল বাসার দিয়েছেন সাংগঠনিক নির্দেশনা। উপদেষ্টাদের সাথে আলোচনায় শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মানিক প্রচার,প্রসারে সংশোধনীর পরামর্শ দেন।

পাঠাগারের বই অনুদান,আর্থিক অনুদানে বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ,বিজ্ঞানী,সাহিত্যিক,সাংবাদিক,শিক্ষানুরাগীরা এগিয়ে এসেছেন।এখন প্রয়োজন দক্ষ নেতৃত্ব, দয়াবান পৃষ্ট পোষক। পাঠাগারের নিয়মিত পত্রিকার দায়িত্ব নিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী আবু নাছের ভিপি দুলাল।সেনবাগের আরেক শিক্ষা বান্ধব, সুশীল পরামর্শক এল এম চৌধুরী মনে করেন পাঠাগারের প্রত্যেককে হৃদয়ে লালন করতে হবে ভাষা,স্বাধীনতার চেতনা,মুক্তির রক্তাক্ত ইতিহাস হবে এগিয়ে যাবার প্রেরণা। আশাকরি সেনবাগ পাঠাগার এগিয়ে যাবে, পৌছবে অভিষ্ট লক্ষ্যে। সমাজের পংকিলতা দূর করতে বই পাঠের বিকল্প নেই।তাই প্রত্যেক এলাকায় প্রয়োজন একটি পাঠাগার।পাঠাগার হতে পারে স্যাটেলাইট,ইন্টারনেটের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ। তাই আমার আহ্বান আসুন যার যার অবস্থান থেকে সেনবাগ পাঠাগারের পাশে থাকি।

জাহাঙ্গীর বাবু, উপদেষ্টা,সেনবাগ পাঠাগার

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।