শাহীন আলম, দুর্গাপুর (রাজশাহী) সংবাদদাতা; কখনো গোয়েন্দা সংস্থার বড় কর্মকর্তা, কখনো দুদক পরিচালক, কখনো মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে রাজশাহীর দুর্গাপুরে গত দুই মাস ধরে নিরবে চাঁদাবাজি করছেন অপরিচিত এক ব্যাক্তি। ওমর ফারুক নামের (৪০) অপরিচিত ওই ব্যাক্তির বাড়ি কোথায় সেটাও পরিস্কার নয়। তিনি কখনো বলছেন রাজশাহীর বাগমারা আবার কখনো বলছেন গাজীপুরে তার বাড়ি। এ নিয়ে দুর্গাপুর বাসীর মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই মাস আগে দুর্গাপুরে আসেন ওমর ফারুক নামের ওই ব্যাক্তি। পৌর সদরের সিংগা গ্রামের সাজদার রহমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এরপর থেকে তিনি নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার বড় কর্মকর্তা, কখনো দুদকের পরিচালক, আবার কখনো মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে নিরবে চাঁদাবাজি করতে থাকেন।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয় এবং সাধারণ মানুষের বাইরে চলাচল সীমিত করা হয়।

এই সুযোগে গোয়েন্দা সংস্থার কথিত ওই কর্মকর্তা দুর্গাপুর সদরের বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়ে দোকান খোলার কারণ জানতে চান এবং চাঁদা দাবি করেন। মুদি দোকান, চায়ের স্টল ও সেলুনে গিয়ে এই চাঁদা দাবি করেন তিনি। ভয়ে অনেকেই তাকে চাঁদাও দিয়েছেন। রাস্তায় গাড়ি চলাচল করলে গাড়ি থামিয়ে চালককে মারধোর করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি বিনা ভাড়ায় অটোতে চড়ে যাতায়াত করেন তিনি। ভাড়া চাইলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দেন।

এদিকে, বাড়ি ভাড়া পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বাড়ির মালিক সাজদার রহমান নিজেই এ অভিযোগ করেছেন। বাড়ি ভাড়া চাইতে গেলে তাকেও কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন গোয়েন্দা সংস্থার কথিত ওই কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কণা জানান, এমন অভিযোগ পেয়ে অপরিচিত ওই ব্যাক্তিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৩ মে ২০২০/সিসিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।