এড. ছালেহ আহমদ সেলিম তৃণমুল থেকে উঠে আসা বঙ্গবন্ধুর এক সুর্য সৈনিক। আওয়ামী পরিবারের এক গর্বিত সন্তান ও তারুণ্যের অহংকার। একসময়ের তুখোড় এই ছাত্রনেতা বর্তমানে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য। স্কুল জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে যুক্ত এখনো সেই পথেই নিরন্তর ছুটে চলেছেন। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহু উত্তান পতনের সাক্ষী হয়েছেন কিন্তু কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্চ্যুত হননি। এবং কোন অপকর্ম, সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেননি। অসাধারন নৈতিক গুণের অধিকারী, দক্ষ সাংগঠক ও অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এড ছালেহ আহমদ সেলিম আওয়ামীলীগ পরিবারের এক বিশ্বস্ত সদস্য।

তিনি তার কাজ ও রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে নিজেকে একজন প্রগতিশীল রাজনৈতিক, মুক্তচিন্তার ধারক, মুক্তিযুদ্ধের যোগ্য পতাকাবাহী, সৃজনশীল রুপে গড়ে তুলেছেন। সেই সাথে তিনি তার কাজ ও কর্মে কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি এবং অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেননি। এছাড়া তিনি সামাজিক কল্যানমুলক কাজ, খেলাধুলায় শিশুকিশোরদের উৎসাহ প্রদান, ও সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেকে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে প্রতিষ্টা করেছেন যা একজন দক্ষ রাজনৈতিকের উপমা। ধার্মিক, সত্যবাদী, সৎচরিত্রবান, নিষ্টাবান কর্মী, দক্ষ নেতৃত্ব গুণের অধিকারী এ ব্যক্তি রাজনৈতিক অঙ্গনে এতই জনপ্রিয় যে, তিনি সিসিকের ২২ ওয়ার্ডের বার বার নির্বাচিত কাউন্সিলর। তিন বঙ্গবন্ধুর আর্দশে এতই নিবেদিত যে, তিনি প্রায়ই বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার সুচনা এবং শেষ। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের আদর্শকে বুকে ধারন করেই তিনি তার রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবন প্রতিষ্টা করেছেন।

এড. ছালেহ আহমদ সেলিম নৈতিক গুণসম্পন্ন এক অসাধারন ব্যক্তিত্ব। এই নৈতিকতাই তাকে সিলেটের রাজনিতিতে জনপ্রিয়, জনন্দিত ও জনপ্রতিনিধির আসনে আসীন করেছে। জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতা দুটোই হাতে থাকার পরও তিনি কখনোই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেননি।

এড. ছালেহ আহমদ সেলিম একজন সৎ ও সাধামাটা জীবনের অধিকারী। তার দীর্ঘ জীবনের রাজনৈতিক ইতিহাস ও বারবার কাউন্সিলর থাকাকালীনও তিনি সাদাসিধে জীবন অতিবাহিত করছেন। তিনি কিছুদিন আগে এক মতবিনিময় সভায় গর্বের সাথে বলেছেন আমি উপশহরের শ্রেষ্ঠ ভাড়াটিয়া।

এড. ছালেহ আহমদ সেলিম মাটি ও মানুষের স্বজন ও নেতা। সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করা তাহার অন্যতম গুন। যে কোন লোক তাহার কাছে সহযোগিতার জন্য সরাপন্ন হলে তিনি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন, এছাড়া চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নিপীরিত ও নির্যাতিত আওয়ামীলীগ কর্মীদের আইনি সহযোগিতা প্রদান করেন।

এড. ছালেহ আহমদ সেলিম একজন কর্মীবান্ধব নেতা। আওয়ামী পরিবারের সকল নেতা কর্মীদের পরিবারের সদস্যের মত বুকে আগলে রাখেন। দলের তরুণ কর্মীদের তিনি অত্যাধিক গুরুত্ব দিতে তাদের দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বিশ্বাস করেন তরুণ প্রজন্ম জাতির ভবিষ্যৎ এবং তরুন কর্মী দলের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। তাহার বিশ্বাস আগামীর বাংলাদেশের অত্যন্ত্র প্রহরী এই তরুণ প্রজন্মকে মাদকাসক্ত, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ থেকে বিরত রাখতে পারলে বাংলাদেশকে তার কাংখিত লক্ষ্যে পৌছতে পারবে।

এড. ছালেহ আহমদ সেলিম নিজে আওয়ামীলীগের একনিষ্ট কর্মী, এবং তার পরিবারের প্রতিটি সদস্যও আওয়ামীলীগের মন্ত্রে দীক্ষিত। এছাড়াও তিনি একজন দৃড়চেতা ও ওয়াদা পালনকারী ব্যক্তিত্ব। নগরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আওয়ামীলীগের মিছিল মিটিং এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নগরের উন্নয়ন কর্মকান্ডে এবং আওয়ামীলীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্চাসেবকলীগকে সুসংগঠিত করতে ভোর থেকেই ছুটে বেড়ান। রাজনীতিতে তাঁর এই কর্মদক্ষতার নেতৃত্ব এই সময়ের আওয়ামীলীগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এক নজরে ছালেহ আহমদ সেলিম এর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন:-
১৯৮৪ সালে বিয়ানীবাজার উপজেলার দেউলগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্য পালন করেন। ১৯৮৭ সালে সিলেটের অন্যতম বিদ্যাপীঠ মদন মোহন কলেজ একাদশ শ্রেণী শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৯ সালে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে আসীন হন। ১৯৯০ সালে সিলেট বালুচর আঞ্চলিক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯০-১৯৯১ সালে মদনমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের বার্ষিকী সম্পাদকের দায়িত্য পালন করেন। ১৯৯১ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্য আঞ্জাম দেন। ১৯৯১-১৯৯৪ সালে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্য পালন করেন। ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে সিলেট ল’ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের প্রত্যেক্ষ ভোটে ল’ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ( লিয়াকত-বাবু ) সহ-সভাপতি র’ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে সিলেট জেলা যুবলীগের সদস্য মনোনিত হন। ২০০৮ সালে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য মনোনিত হন। ২০১৮ সালে সিসিক নির্বাচনে আবারো জনগনের ভোটে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।