বেতন বৈষম্যে নিরসন ও গ্রেড উন্নয়নের আন্দোলনের অংশ হিসাবে আজও (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ি অর্ধ দিবস ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা।

আন্দোলনের অংশ হিসাবে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সারাদেশের ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি , মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত তিন ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করে। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) এসব বিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা।

আগামীকাল ১৭ অক্টোবর পূর্ণ দিবস কর্ম বিরতি, এরপরেও দাবি আায় না হলে ২৩ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশ করে সেখান থেকে দাবি আদায়না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসুচি পালনের কথা রয়েছে তাদের।

এদিকে সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত কর্মসূচি সম্পর্কে এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, `অধিকন্তু সরকারি কর্মচারীগণ এ ধরণের কর্মসূচি ঘোষণা বা অংশগ্রহণ করা সরকারি শৃংখলা ও আপীল বিধিমালা-২০১৮ এর পরিপন্থী। বণির্ত অবস্থায় এধরণের কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগণকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ।

বদরুল আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে চাইলে তা হবে না। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কথা বলুক। এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেউ আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি। শিক্ষক ঐক্য পরিষদ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

কোন পরিস্থিতে আন্দোলন প্রত্যাহার বা স্থগিত করা হবে এডুকেশন বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গ্রেড উন্নয়নের প্রস্তাব পুনরায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়টি আমরা ভেবে দেখবো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।