নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক স্তর চালু করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় । প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য সারা দেশে ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ সৃজন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।  তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার আগ পর্যন্ত এ পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা  ক্লাস নেবেন। অর্থ্যাৎ যে সব প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকরা প্রাথমিকে ক্লাস নিচ্ছেন তারাই নিবেন এই স্তরের শিক্ষার্থীদের ক্লাস। বেতন ভাতা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও দায়িত্ব কাঁধে তাদেরই নিতে হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা  মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, শিশুদের মেধা-মনন বিকাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ স্তরে চার বা পাঁচ বছরের কম শিশুদের ভর্তি নেয়া হবে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে প্রথম পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় মোট ৫ হাজার বিদ্যালয়ে এটি চালু করা হবে। দুই বছর মেয়াদি হবে এই কোর্স। প্রাক-প্রাথমিক পাসের পর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে।

জানা যায়, ১ম পর্যায়ে পাইলটিং হিসেবে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ৫ হাজারের মতো বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর চালু হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।  প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য শিশুদের বিকাশের আলোকে কারিকুলাম, শিক্ষক নিয়োগ, টিচিং মেটারিয়াল ও অবকাঠামো তৈরি করা হবে। বর্তমানে দেশের কয়েকটি বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও এ স্তরের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ জন্য নতুন করে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকের পদ সৃজন করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে সারা দেশে ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। দ্রুত পদ সৃজনের প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর চালু করা হবে। প্রাক-প্রাথমিক স্তর চালু করতে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরি করেছি। সেটি চলতি মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর পাইলটিং হিসেবে দেশের ৫ হাজার বিদ্যালয়ে এটি চালু করা হবে। যেসব বিদ্যালয়ে অনুকূল অবকাঠামো রয়েছে সেখানে এটি চালু করা হবে। এ জন্য দেশের সকল বিদ্যালয়ের দুজন করে শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পাইলটিং শেষে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর খোলা হবে।

তিনি জানা, প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য সারা দেশে ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ সৃজন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তার আগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ক্লাস নেবেন।

আমাদের বাণী ডক কম/২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০/খম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।