নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা;  নতুন সরকারিকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৯৬ সহকারী শিক্ষককে আগের প্রধান শিক্ষক পদে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ২০২০) এসব শিক্ষকের দায়ের করা ৫ টি রিট মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন ।

জানা গেছে, এ ২৯৬ জন শিক্ষক সরকারিকরণের আগে প্রধান শিক্ষক পদে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পেলেও তাদের সহকারী শিক্ষক পদে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে রিটকারী শিক্ষকদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া  বলেন, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সারাদেশের ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে ওইসব স্কুলগুলোর শিক্ষকদের ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে সরকারি শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এক্ষেত্রে যে শিক্ষকরা সরকারিকরণের আগে যে পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন, সরকারিকরণের পরও স্ব স্ব পদে অথাৎ প্রধান শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে এবং সহকারী শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু উক্ত রীটকারী শিক্ষকরা কমিটি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেও ২য় ধাপে স্কুল সরকারিকরণের পর তাদের ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে সহকারী শিক্ষক হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে নিয়োগ দেয়া হয়। যা শিক্ষকদের সাথে বৈষম্যমূলক। তাই রিটকারীরা ক্ষুব্দ হয়ে প্রধান শিক্ষক পদে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের আবেদন জানিয়ে ৫টি রিট মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত ৫ টি রিটের চুড়ান্ত নিস্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তিনি আরও বলেন, এ রায়ের ফলে রিটকারী ২৯৬ শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেট অন্তর্ভুক্তির আইনি পথ সুগম হল।

আমাদের বাণী ডট কম/ ০৬ মার্চ ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।