সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো পাঁচ জনের। মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন দুপুরে বাগেরহাট ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এ দুই দুর্ঘটনা ঘটে।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় দাঁড়িয়ে থাকা ইটবোঝাই ট্রাককে পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে চালক ও হেলপারসহ তিনজন নিহত হন।

দুপুর পৌনে ২টার দিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সড়কের এ দুর্ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তুহিন হাওলাদার জানান, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সড়কে পাংচার হওয়ায় একটি ইটবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ওই ট্রাকের নিচে ঢুকে হেলপার ও চালক চাকা মেরামতের কাজ করছিলেন।

তিনি জানান, এ সময় পেছন থেকে এসে পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকচালক ও হেলপার এবং ধাক্কা দেয়া ট্রাকের হেলপার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন আরেকজন। আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলে অজ্ঞাত দুই পুরুষ যাত্রী নিহত ও ২৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।

দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় কুমিল্লাগামী ওই বাসটি এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

গজারিয়া থানার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন খান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রতক্ষদর্শী, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস কুমিল্লা যাওয়ার পথে মহাড়কের বাউশিয়া এলাকা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিপরীত লেনে বিপরীতমুখী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসটি উল্টে যায়।

পুলিশ পরদির্শক আলমগীর হোসেন খান জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জিয়াউল ইসলাম জানান, আহত ১৮ যাত্রীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।