প্রতিদিন তিনটি গরুতে দুধ হয় ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ লিটার। প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হয় সত্তর থেকে আশি টাকা দরে। আর এ দুধ বিক্রিতে যে আয় হয় তা দিয়েই চলছে রফিকের সংসার।

উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমান মোল্লার ছেলে ষাটোর্ধ্ব রফিক মোল্লা। ১৯৯৭ সাথে সেনা সদস্য চাকুরি থেকে অবসর নেন। পরে কলাপাড়া পৌর শহরের ফটোষ্টাটের দোকান দিয়ে লোকসানের ভার মাথায় নিয়ে ঢাকার বেসরকারী একটি সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি শুরু করেন। চাকুরিতে যে টাকা বেতন পেতেন তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোন রকম চলত তাদের সংসার। পাঁচ বছর চাকুরির পর স্ত্রীর পরামর্শে ২০১৭ সালে বেনাপোল থেকে দুই লক্ষ টাকা দিয়ে বাছুরসহ একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু ক্রয় করেন। দুই বছরের মাথায় দুই গরুতে বাছুরসহ ছয়টি গরুতে পরিনত হয়। বর্তমানে প্রতিদিন তিনি দুধ বিক্রি করে ২ হাজার থেকে ২৫’শো টাকা আয় করেন। দুধ বিক্রি করে দুই ছেলে ও এক মেয়ের লেখাপড়ার খরচসহ সংসারের ভরপোষন বহন করছেন তিনি।

এদিকে রফিক মোল্লার সাফল্য দেখে ওই গ্রামের অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন গরু পালনে। বাদুরতলীর বাসিন্দা বসার হাওলাদার জানান, রফিক মোল্লা গরু পালনে বেশ ভাল লাভবান হয়েছেন। আমিও ফ্রিজিয়ান গরু পালন করব বলে ভাবছি। একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা মামুন হাওলাদার জানান, ইতি মধ্যে আমি ফ্রিজিয়ান গরু পালনের জন্য বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি।

স্বাবলম্বী রফিক মোল্লা জানান, সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ব্যবসায় লস খেয়ে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে সিকিউরিটি চাকুরি নিয়ে ঢাকায় চলে আসি। পরে গ্রামে এসে গরু পালন করে বেশ লাভবান হয়েছি। দুধ বিক্রি করে আমাদের সংসার বেশ ভালই চলছে।

উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ফ্রিজিয়ান গরু পালনে অনেক যুবকই স্বাবলম্বী হয়েছে। আমরা রফিক মোল্লাসহ অনেকের ফ্রিজিয়ান গরুর খামার পরিদর্শন করেছি এবং সঠিকভাবে তদারকি করছি। এছাড়া কোন খামারী অন্য জাতের গরুতে ফ্রিজিয়ান জাতের বিজ পুষ করতে পারে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।