সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্গাপূজার ছুটি বাড়িয়ে সাতদিন করার দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূজার ছুটি সরকার তিনদিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচদিন করলেও এতে সন্তুষ্ট নয় এ সংগঠনের নেতারা। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানান পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায়।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। গত ২৭ আগস্ট এক সংবাদ বিবৃতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাতদিনের পূজার ছুটির দাবি জানিয়েছিল বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। কিন্তু সরকার এ ছুটি তিনদিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচদিন করেছে। শিক্ষকরা এতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন এ সংগঠনের নেতারা।

তারা আরও বলেন, জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা প্রকাশ হলে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কাছে তালিকার অসঙ্গতিগুলো দূর করার আবেদন করা হয়। এসময় পরিষদের পক্ষ থেকে ১৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি, সাতদিন দুর্গাপূজার ছুটি ও জাতীয় দিবসগুলোকে কর্মদিন ঘোষণা করার সুপারিশ করা হয়েছিল। একই সাথে স্কুলে সংরক্ষিত ছুটি অনুমোদনের ক্ষমতাও প্রধান শিক্ষককে এককভাবে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় বলেন, দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাঙালীরা ঈদ পূজা একসাথেই  উপভোগ করে। সেদিক থেকে এটা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালীর উৎসবও বটে। এর আগে প্রতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দুর্গাপূজার ছুটি ৭ থেকে ১০ দিন নির্ধারিত ছিল।  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠীপূজা থেকে দশমী পর্যন্ত দুর্গাপূজার আনন্দ উপভোগ করেন। সে কারণে এ ছুটিটা কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ দিন হলে ভালো হতো। তার পরেও আমাদের অনুরোধে সরকার পূজোর ছুটি দুদিন বৃদ্ধি করায় আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এ বিষয়টি আগেভাগেই চিন্তা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিষদের নেতারা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।