নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহের বহির্বিভাগে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জারিকৃত এক অফিস আদেশে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে আন্তঃবিভাগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিকস সমূহকে বহির্বিভাগে শর্তসাপেক্ষে নমুনা সংগ্রহ ও কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আইপিসি নিশ্চিতকরণসহ আন্তঃবিভাগে ভর্তিকৃত রোগীদের ও বহির্বিভাগে সংযুক্ত বর্ণনা মোতাবেক উক্ত আরটি-পিসিআর পরীক্ষাটি করতে হবে।

নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মূল্য ও নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা বাবদ সর্বোচ্চ ৩৫০০ টাকা নেয়া যাবে।

এছাড়া যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের সুবিধা নেই তাদের নমুনা সমূহ অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সমূহে আলোচনার ভিত্তিতে পরীক্ষা করবে।

বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে, সেসবের ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ বাবদ সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা নেয়া যাবে।

এছাড়া অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকসমূহকে নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে সম্পাদিত সকল পরীক্ষা সমন্বিত রিপোর্ট আবশ্যিকভাবে ল্যাব কল সেন্টার ও ডিএইচআইএস ২ তে প্রেরণ করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২১ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ১০ হাজার ১৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ২৬২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ১৪ হাজার ১১৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৭৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৫১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০৮ জনে।

আমাদের বাণী ডট/২১  মে ২০২০/পিবিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।