ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়েছে দুর্ঘটনাস্থালের আশপাশের এলাকা। কিন্তু একের পর এক ঘটেই চলেছে লঞ্চডুবির ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় শত শত প্রাণহানী হলেও লঞ্চডুবি রোধে নেয়া হয়না কার্যকর কোনো ব্যবস্থা। ফিটনেস না থাকা, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করাসহ কোনো ঘটনাতেই বিচার না হওয়ায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকে।

  • ২০১৪ সালে ৪ আগষ্ট। স্মরণকালের ভয়াবহ লঞ্চডুবি ঘটে পদ্মার বুকে। ঈদের পর হওয়ায় লঞ্চে ছিলো ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী। ভরাবর্ষার উত্তাল পদ্মায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক ৬। ঘটনার পর পেরিয়েছে ৬ বছর। কিন্তু বিচার কাজ এখনও চলছে। পিনাক ডুবির মাত্র তিন মাস আগেই মেঘনাতেও লঞ্চ ডুবে মারা যান শতাধিক মানুষ। একইরকম ঘটনা আরো আছে।

সবগুলো ঘটনাতেই গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। কিন্তু ফলাফল শূন্য। বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও ঘটলো লঞ্চডুবি। সোমবার (২৯ জুন) সকালে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে বুড়িগঙ্গায় যাত্রীসহ ডুবে যায় মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নকশায় ত্রুটি, অদক্ষ ইঞ্জিন অপারেটর, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন ছাড়াও বিচারহীনতার কারণে বন্ধ হয় না লঞ্চ দুর্ঘটনা।

  • ফায়ার সার্ভিস সাবেক মহাপরিচালক বি. জে. আলী আহমেদ খান বলেন, বাংলাদেশে নৌ দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছেই। অপরাধ কে করছে আর অপরাধীদের যদি শাস্তি না হয় যার জন্য অনেকেই অনৈতিক কাজ করেই যায়।

শুধু তাই নয় এক্ষেত্র কর্তৃপক্ষগুলোও থাকেন উদাসীন। বি. জে. আলী আহমেদ খান আরও বলেন, দুর্নীতি সব জায়গাতেই আছে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদেরও তদারকির গাফিলতি রয়েছে। যে কারণে পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ বছরে প্রায় ৭শ লঞ্চ ডুবিতে মারা গেছেন ২০ হাজার মানুষ।

আমাদের বাণী ডট কম/২৯ জুন ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।