ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া থানা এলাকার কানিকশালগাঁও গ্রামে ৫ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অন্যদিকে মেলা দেখানোর নাম করে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ৪ জন দল বেঁধে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার কানিকশালগাঁও গ্রামের এক দিনমজুরের কন্যা পার্শ্ববর্তী কশালগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১টায় সে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে একই গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৮) এবং ইন্তাজুল হকের ছেলে রাশেদ (১৮) তাকে মুখ চেপে ধরে বাইরে নিয়ে যায়। পরে বন্ধু রাশেদের পাহারায় জাহিদুল ইসলাম মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ভোর ৪টা পর্যন্ত তাকে জনৈক আমিরুল ইসলামের বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণ করে জাহিদুল। ভোরের দিকে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ধর্ষক ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৩০ ধারায় রুহিয়া থানায় মামলা করেন। অন্যদিকে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার দেহন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মেলা দেখানোর নাম করে শহরে নিয়ে এসে ৪ যুবক ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার (২৩ অক্টোবর) মাদ্রাসায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ (২০) নামের এক যুবক ঐ ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও রোডে বাণিজ্য মেলা দেখতে যাওয়ার নাম করে তাকে শহরের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি আখ ক্ষেতের ভেতর নিয়ে রিয়াদের ৩ বন্ধু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে রিয়াদ মেয়েটিকে দুরামারী কান্দর এলাকায় একটি মেসে নিয়ে গিয়ে সেও ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ, তার সহযোগী সবুজ ইসলাম ও ফয়সাল ইসলামকে গ্রেফতার করে  ২৭ অক্টোবর রবিবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান ও রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।