ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার বাবা এ কে এম মুসা। বৃহস্পতিবার সকালে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন। এরপরই আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের কাছে রায়ের প্রতিক্রিয়া দেন তিনি।

নুসরাতের বাবা বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকর হলে নুসরাতের আত্মা শান্তি পাবে। এসময় তিনি তার পরিবারের নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বানও জানান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই সোনাগাজী ও ফেনী সদর উপজেলায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

চার মাসের বিচারিক কার্যক্রম শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিন ধার্য করেন। হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস ১৭ দিনের মাথায় আদালতের ৬১ কর্মদিবসে রায়টি ঘোষণা করা হল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।