নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান, ভেজাল বিরুধী তৎপরতা, সড়কে গাড়ির ফিটনেস, লাইসেন্স, অতিরিক্ত ভাড়া ইত্যাদির উপর কড়া নজরদারী ও জরিমানার কার্যক্রমে জেলা উপজেলা, পৌরসভা তথা জেলার জন সাধারণ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।স্থানীয় মিডিয়া ফলাও করে জনগণের কাছে পৌছে দিচ্ছেন সরকারের এই কার্যক্রম ।

বেসরকারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারী প্রতিষ্ঠান,হাসপাতাল গুলিতে অভিযান চালাবেন প্রশাসন এই আশা জনগনের।হাসপাতাল গুলিতে সরকারের কোটি টাকার সরঞ্জামাদি রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে,অবলায় নষ্ট হচ্ছে।পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার রয়েছে অভাব।এই সব হাসপাতালকে জনগনের সেবায় কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুনজর দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জনগন আশা ব্যাক্ত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় সুগন্ধা বাস দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসকের তাৎক্ষণিক নির্দেশে নোয়াখালী বিআরটিএ সার্কেল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুধারাম মডেল থানা পুলিশ সহযোগীতায়আইন লঙ্গন করে রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনকে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী ১৯ মামলায় ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃরোকনুজ্জামান খান। বুধবার (১০ জুলাই) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নোয়াখালী জেলা শহরের সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভা গেট এলাকায় মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর নিয়ম লঙ্গন করায় সুগন্ধা দ্রুতযান, সুগন্ধা কিং, একুশে, হিমাচল, বাঁধন, জননী, আর.পি, বিসমিল্লাহ, লাল-সবুজ পরিবহন, জননী, হলুদ পিকাপ, ট্রাক ও মোটর সাইকেল চালককে জরিমানা করা হয়েছে।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান আরো জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালানার সময় দেখা গেছে, লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ও বীমা ব্যতীত গাড়ি চালনা; গাড়ির সঙ্গে সঙ্গতিবিহীনভাবে গাড়িতে পরিবর্তন সাধন, অনুমোদিত ওজন অতিক্রম পূর্বক গাড়ি চালানো ও ট্যাক্স টোকেন সংগ্রহ না করাসহ সরকারি আদেশের অমান্যকরণ।

একই সময় চেয়ারম্যানঘাট-সোনাপুর ও নোয়াখালী-ফেনী চলাচলকারী সুবর্ণসুপার, সুবর্ণসুপার সার্ভিস, সুগন্ধা দ্রুতযান নামের তিনটি যানবাহনকে ঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।