উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা সংবাদদাতা;  নড়াইলে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে কয়েক হাজার কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি, সাংবাদিক হাফিজুল নিলুর বাধা ঘাট এলাকায় বাড়ীর বিপুল পরিমাণ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে যা না দেখলে বুজা জাবেনা।

এদিকে গাছপালা, বোরা ধান, শাক-সবজি, উঠতি আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তবে কোন হতা-হতের খবর পাওয়া যায়নি। জেলার অধিকাংশ এলাকায় ঝড়ে বৈদ্যতিক খুঁটি ও তার পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভে*ঙ্গে পড়েছে। নড়াইল শহরে টানা ২২ ঘন্টা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল।

জানা গেছে, বুধবার (২০মে) সন্ধ্যার দিকে ঘুর্ণিঝড় আম্পান নড়াইলে আ*ঘাত হানে এবং রাত ২টার দিকে এর গতি কমতে থাকে। এর মধ্যে নড়াইল-যশোর সড়ক, নড়াইল-কালিয়া এবং নড়াইল-লোহাগড়া সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে গাছপালা উপড়ে পড়ে সাময়িকভাবে যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। আম্পানের তা*ণ্ডবে কয়েক হাজার কাঁচা, আধা পাকা ঘরবাড়ি উপ*ড়ে পড়ে।

কয়েক হাজার ফলজ ও বনজ গাছ উপ*ড়ে পড়ে এবং গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে। অনেক কৃষক বোরা ধান কা*টতে না পারায় এসব জমির ধান মাটির সাথে মিশে গেছে এবং অনেক কৃষক জমির ধান কা*টলেও জমি থেকে ফসল ঘরে আনতে পারেননি। অধিকাংশ গাছেরই উ*ঠতি আম ও লিচু ঝ*ড়ে প*ড়ে গেছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত শহরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। তবে এখনও জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির ব্যপারে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নেটওয়ার্কের কারণে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য,  সারা রাত তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি স্থল-নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তার আগে সুপার সাইক্লোন আম্পান কিছুটা শক্তি হারিয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে বুধবার দুপুরের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে। পরে সন্ধ্যায় আছড়ে পড়ে সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের উপকূলে। আম্পানের তাণ্ডবে দেশের বিভিন্ন জেলায় কমপক্ষে ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে।তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় ২ জন, পটুয়াখালীতে ২ জন, পিরোজপুর ৪ জন , বরগুনায় ১ জন এবং সন্দ্বীপে ১ জন, যশোরে ৬ জন , সাতক্ষীরায় ১ জন, ঝিনাইদহে ১ জন ও রাজশাহীতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/২১ মে ২০২০/পিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।