নড়াইলের লোহাগড়ায় শিশু শ্রেণির ছাত্রী (৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মল্লিকপুর ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধর্ষিতা শিশুকে তার বাবা-মা চিকিৎসার জন্য লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ধর্ষিতা শিশুর মা রাবেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচুড়িয়া গ্রামের মৃত মোবারেক শেখের ছেলে চটপটি বিক্রেতা আকরাম শেখ (৫৫) কিছু খাবারসহ ১০টাকা হাতে দিয়ে ফুসলিয়ে পাঁচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী শিশুর মা পরের বাড়িতে কাজ করেন এবং শিশুর বাবা আকুব্বর শেখ ভ্যান চালক। পরের বাড়িতে কাজ করতে যাওয়ায় বাড়িতে ছিলেন না শিশুর মা। বাড়িতে এসে ওই শিশু তার ছোট বোন (৫) মরিয়মকে ঘটনার কথা জানালে মরিয়ম তার ফুপু রহিমাকে ঘটনা বলে দেয়। বিকালে শিশুটি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে রহিমার কাছ থেকেই শিশুর মা ও বাবা বিষয়টি প্রথম জানতে পারে। এ সময় শিশুটিও তার বাবা মাকে ঘটনা খুলে বলে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসার জন্য লোহাগড়া হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে আসে তার বাবা-মা।হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসার সময় লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোকাররম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

জরুরি বিভাগের ডাক্তার রিপন কুমার ঘোষ বলেন, শিশুটির গোপনাঙ্গে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেছি।

ধর্ষিতার মা আরও জানান, লম্পট আকরাম প্রায় আমার মেয়েকে ফ্রি চটপটি খাওয়াত। টাকাও দিত। আমি ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

এ ঘটনায় ধর্ষক পক্ষের লোকজন ধর্ষিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে যেতে না দিয়ে লোহাগড়া হাসপাতাল অভ্যন্তরেই মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন। তবে ধর্ষিতার মা কান্নারত কণ্ঠে বলেন, আমি ধর্ষকের বিচার চাই।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোকাররম হোসেন হাসপাতালে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।