পাঠ্যবই থেকে ডারউইনের ‘বিবর্তনবাদ তত্ত্ব’ বাদ দেয়ার দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, বিবর্তনের পাঠ ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, কোরিয়া, রুমানিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের মতো মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে এই বাতিল পাঠ নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে।

এই শিক্ষা চলতে থাকলে আগামী কয়েক প্রজন্ম পর দেশ নাস্তিকদের রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে যাবে। তাই পাঠ্যপুস্তকে এই তত্ত্ব সংযোজনকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১২ জুলাই) এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এ দাবি জানান।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার ইসলামি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। অথচ নবম-দশম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত বিবর্তন পাঠের বিষয়গুলো যে কোনো অভিভাবক দেখলে সহজেই বুঝতে পারবেন যে, তার সন্তানকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানান সস্তা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানো হচ্ছে যে, পৃথিবীর সবকিছুই প্রকৃতি থেকে সৃষ্টি হয়ে বিবর্তনের মাধ্যমেই বর্তমান অবস্থায় এসেছে।

মানুষ ও বানরের আদি পিতা একই ছিলো। হযরত আদম ও হাওয়া (আ.) এসব কিছু না। সৃষ্টিকর্তা ও ধর্মের ধারণা অশিক্ষিত কর্তৃত্বপরায়ণশীল মানুষের তৈরি। বিজ্ঞানের বিবর্তনের এই আবিষ্কার কেউ খণ্ডাতে পারবে না। ৯৯ পার্সেন্ট বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, ২০১৩ সালে শিক্ষার আধুনিকায়নের নামে পাঠ্যসূচিতে ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আমাদের গোচরে এসেছে। ২০১২ সাল পর্যন্ত এটি পাঠ্যসূচিতে ছিল না।

এই শিক্ষার মাধ্যমে দেশের মুসলিম শিক্ষার্থীদের আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাসকে ঘোরতর সন্দিহান ও ভঙ্গুর করে নাস্তিকতাবাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে পাঠ্যবই থেকে ডারউইনের ‘বিবর্তনবাদ তত্ত্ব’ বাদ দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।