লামা (বান্দরবান) সংবাদদাতা;  বান্দরবান ৩০০ নং আসন থেকে ১৯৯১ সালে সর্ব কনিষ্ট সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন বীর বাহাদুর উশৈসিং। এরপর থেকে টানা ৬ষ্ঠ বারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের ১০ জন নেতার পাশে নাম লেখান।এই সময় তিনি ৩ বছর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিঠির সাংগনিক সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বান্দরবান জেলায় ২ টি পৌরসভা, ৭ টি উপজেলার ৩৩ টি ইউনিয়নে ১১ টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বসবাস।১৯৯৭ সালের পূর্বে পার্বত্য এই জেলা ছিলো অশান্ত এক জনপদ -এর নাম।শান্তিবাহিনী অর্থ্যাৎ সন্তু লারমার নেতৃত্বে জন সংহতি সমিতি(জেএসএস) সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সাথে দফায় দফায় সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে রক্তাক্ত হয়ে উঠতো বান্দরবানের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলো।

১৯৯৬ সালে প্রথমবার আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ দিনের চলমান এই সংকট নিরসনের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং সে বছরের ডিসেম্বর মাসেই শান্তিচুক্তি সম্পাদন করে সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হন। শান্তিচুক্তি সম্পাদন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বর্তমান পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

শান্তি চুক্তির পর থেকে বীর বাহাদুরের নানা মুখি উন্নয়ন কর্মকান্ড বদলে দেয় বান্দরবানের চিরাচরিত দৃশ্যপট।রাজনৈতিক সৌহার্দ,উদারতা,চমক লাগানো উন্নয়ন,জেলার প্রতিটা উপজেলায় বিদ্যুৎতায়ন, সর্বোপরি ১১ টি জাতি সত্তা’র মধ্যে ভাতৃ ভাবাপন্য মনোভাব তৈরী করে এক সময়ের অশান্তিপূর্ণ জেলা বান্দরবান কে সম্প্রীতির চাদরে মুড়ে দিয়ে প্রতিষ্টা করেন সম্প্রীতির অন্যন্য নজির।

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে বান্দরবান জেলা যেকোনো সূচকে চুরি, ডাকাতি,গুম,খুন,রাহাজানি তে অন্যান্য জেলার তুলনায় সব চেয়ে ভালো অবস্থানে।

রাজনৈতিক শিষ্ঠচার,পরস্পর ভাতৃত্ববোধ, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সহ অন্যান্য ধর্মালম্বীদের সহাবস্থান এই জেলা কে করেছে অতুলনীয়।

তাই এর পেছনের কারিগর পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর কে ‘সম্প্রীতির পিতা’উপাধীতে ভূষিত করলেন বান্দরবানের লামা উপজেলা যুব লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মাতামুহুরি কলেজের সভাপতি আলাউদ্দীন।

তিনি বলেন বান্দরবান আজ সারা বাংলাদেশে সম্প্রীতির যে নজির স্হাপন করেছে তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র।
তিনি আরো বলেন আমার বাবা প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ অলিউল্লাহ। তিনি কিছুদিন আগে হঠ্যাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের বাড়িতে ছুটে আসেন বীর।

শুধুমাত্র আমার পিতার বেলায় নয়,তৃণমূলের যে কোন নেতা কর্মীর প্রতি সর্বোপরি বান্দরবান সহ তিন পার্বত্য জেলার প্রত্যকটি নাগরিক এর প্রতি নিবেদিত প্রাণ আমাদের বীর।পরিশেষে তার সামগ্রিক কর্মকান্ড বিবেচনায় আমি উনাকে “সম্প্রীতির পিতা” উপাধীতে ভূষিত করলাম।

আমাদের বাণী ডট কম/১৯ মে ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।