পিরোজপুরের নাজিরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন দুই শিক্ষিকা। এ ঘটনায় আহত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী নিলা আক্তারের পিতা মো. মনিরুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে নাজিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আহত শিক্ষার্থীরা শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় বলে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক রোকসা আক্তার নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ৫৭নং দিঘীরজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী নীলা আক্তার, একই শ্রেণির সাম্মী আক্তার, তাসলিমা আক্তার, ফারজানা আক্তার, ইতি, জিনিয়া, রাজিয়া ও লিয়া মনি, চতুর্থ শ্রেণির নাবিলা ও তৃতীয় শ্রেণির আজমিরুল মোল্লা এই ১০ জনকে গত বৃহস্পতিবার বেদম পিটিয়ে আহত করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মলিনা রানী মজুমদার ও সহকারী শিক্ষিকা শিউলী রানী।

আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদেরকে পিটিয়ে প্রধান শিক্ষিকা বলেন ‘বাড়ি গিয়ে বললে টিসি দিয়ে দেবো’।

আহত তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আজমিরুল মোল্লা বলে, গত বুধবার আমরা ছুটি শেষে বাড়িতে ফেরার সময় মরিয়ম নামের এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা কাটা-কাটি হয়। এ ঘটনায় মরিয়মের মা বিদ্যালয়ে গিয়ে নালিশ দিলে হেড ম্যাডাম মলিনা রানী মজুমদার আমাকে বেদম পিটিয়ে আহত করেন। আর অন্যদের শিউলী ম্যাডাম পিটিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মলিনা রানী মজুমদার জানান, পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর মা বাহারুন বেগম তার মেয়েকে ওই সব শিক্ষার্থীরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করায় তিনি বিদ্যালয়ে এসে নালিশ দেন। সে নালিশের বিচারে ওদেরকে ২/১টি পিটান দেয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষিকা শিউলী রানী মজুমদার জানান, প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশে তিনি পিটিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ওই ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) অদিতি বিশ্বাস জানান, বিষয়টির একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। আগামী কাল (শনিবার) ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন।

নাজিরপুর থানার ওসি মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।