ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে জেলা পরিষদের সদ্য নির্মিত সেমি পাকা মার্কেটের ৯টি দোকান ঘড়ে অবৈধভাবে লাগানো তালা ও সাইনবোর্ড অপসারণ করাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে দখলবাজদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তার উত্তরে থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তার উত্তরে থানার সামনে পাকা রাস্তার ধারে সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে একটি সেমি পাকা মার্কেটের নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ করেছে জেলা পরিষদ। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। জেলা পরিষদের নিজস্ব জমিতে সদ্য নির্মিত ঐ মার্কেটের ২২টি দোকান ঘর বিধি মালা অনুযায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে কিছু আবেদন জমা পড়েছে।

বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকাবস্থায় মার্কেটের একটি অংশ অবৈধভাবে নিজের দখলে নিতে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত আলী মার্কেট থেকে জেলা পরিষদের সাইনবোর্ড সরিয়ে বঙ্গবন্ধু মার্কেট নাম দিয়ে অবৈধভাবে ৩টি সাইন বোর্ড লাগায় এবং ৯টি দোকান ঘড়ে তালা লাগিয়ে দেয়। এতে হতবাক হয় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ জেলা পরিষদ।

সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ৫ সদস্যের একটি টিম মার্কেটের ঐ অবৈধ সাইনবোর্ড ও দোকান ঘরে লাগানো তালা অপসারণ করতে আসেন। এতে বাধা দেয় খয়রাত আলীর ছেলে, নাতি ও জামাইসহ তার লোকজন। এক পর্যায়ে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের টানা হেচড়া ও কিল ঘুষি মারে খয়রাত গং। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এরপর মার্কেটে লাগানো খয়রাত আলীর ঐ অবৈধ ৩টি সাইন বোর্ড ও ৯টি দোকান ঘরের তালা অপসারণ করে ঘরগুলোতে নতুন তালা লাগায় জেলা পরিষদের ঐ টিম। অপসারণ করা সাইন বোর্ড ও তালাগুলো থানা পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী বলেন, জেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গায় পরিষদের অর্থায়নে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। বিধিমালা মতে দোকান ঘর বন্দোবস্ত দেওয়া হবে। ঐখানে আগে যাদের দোকান পাঠ ছিল তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বন্দোবস্তের প্রক্রিয়া চলাকালে খয়রাত আলী মার্কেটে একটি অংশ জবর দখল করতে জেলা পরিষদের সাইনবোর্ড সরিয়ে তার সাইনবোর্ড লাগায় এবং দোকান ঘরে তালা দেয়। এটি অপসারণ করতে গিয়ে খয়রাত আলীর লোকজন জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের গাঁয়ে হাত দিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা করা হবে।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত আলী জানান, সেখানে তার আগের দোকান পাঠ ও অফিস ছিল। সেজন্য তিনি সাইনবোর্ড ও তালা লাগিয়েছেন।

পীরগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশিদ বলেন, মার্কেট নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে। পুলিশ গিয়েছিল। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।