নিজস্ব সংবাদদাতা, কক্সবাজার ; বাংলাদেশ সনাতনী কল্যাণ সংঘের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন ভট্টাচার্য ও তার পরিবার কে প্রকাশ্য প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কক্সবাজারের  রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৩ নং তিতাড় পাড়া গ্রামের সুদখোর গোলাম মওলা সিকদার এই হুমকি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে পরিবারের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে রামু থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন সুমন ভট্টাচার্য্য।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গোলাম মওলা সিকদার গত ২ তারিখ গর্জনীয়াতে সুমনের পিতার ভাড়া বাড়ির সামনে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয়ের সন্ত্রাসী নিয়ে পাঁচ হাজার টাকা পায় দাবি করে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে চিৎকার করে বলে এ টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে নতুবা হত্যা করে লাশ ঘুম করে রেখে দিবে, পুলিশ কে কি ভাবে ম্যানেজ করতে হয় তা ভাল জানা আছে। তোদের কোন বাবা স্বাক্ষী দিতে ও আসবে না এমন হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে সুমন ভট্টাচার্য্য বলেন, তার পাঁচ হাজার টাকা আমি একবার পরিশোধ করে দিলে ও সেটি অস্বীকার করে আমার সদ্য প্রয়াত মাকে দিয়ে ২য় বার সে টাকা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর সুযোগে আবারো টাকা দাবি করে আসছে গোলাম মওলা সিকদার। সুমন দাবি করেন এর পেছনে একজনের ইন্দন রয়েছে বলে আমার ধারনা।এ বিষয়ে পুলিশের মহাপুলিশ পরিদর্শক সহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের ইমেইল এর মাধ্যমে সার্বিক বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।

এ দিকে সুমন ভট্টাচার্য্যের পরিবার কে প্রকাশ্য প্রাণ নাশের হুমকি দাতা কে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনের সভাপতি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মূখ্যার্জীর শ্যালক কানাই লাল ঘোষ। তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হুমকি দাতা সহ ইন্দন দাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিবে সংগঠন সহ আরও রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

স্থানীয়রা জানান, গোলাম মওলা সিকদার একজন সুদখোর হিসেবে পরিচিত। সে এহেন অপকর্ম নেই যা তাঁর সুদে কারবার টিকিয়ে রাখার জন্য করেন না। সুদের সুদ তার সুদ পর্যন্ত আদায় করেন। তাছাড়া পাওনা টাকা আদায় করার পরও টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করে পুনরায় দাবী করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার এই অপকর্মে সহযোগীতা করে স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী। আর এই ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে কিংবা আইনের আশ্রয় নেওয়ার সাহস পর্যন্ত পাননা।

এ ব্যাপারে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য সংগঠন টি প্রতিষ্ঠ লগ্ন থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণসহ  সার্বিক কল্যাণ সাধন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে কার্য পরিচালনা করে যাচ্ছে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৫ জুলাই  ২০২০/পিপিএম 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।