পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন শুরু করেছে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (২১ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনকারীরা এসব কথা বলেন।

এসময় অনশনে অংশ নেয়া মো. জসিম উদ্দিন বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেছি। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রেসক্লাব ছাড়বো না। প্রয়োজনে লাশ হয়ে ফিরবো তারপরেও দাবি আদায়ে লড়ে যাবো।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এ শিক্ষার্থী বলেন, ১৯৭৩ সালে একবার চাকরির বয়স বাড়ানো হয়েছিল, ১৯৯১ সালে আরেকবার বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালে আমরা প্রায় ৩৭ দিন অনশন করি। পরে আমাদের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। কিন্তু পরে আর বয়স বাড়ানো হয়নি। আমরা শুধু আবেদনের সুযোগ চাই, চাকরি চায় না। চাকরি হয় যোগ্যতার ভিত্তিতে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জসিম উদ্দীন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা ঠাণ্ডার মধ্যে রাস্তায় থাকতে চায় না। আপনি আমাদের দাবি মেনে নিয়ে পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে দিন।

অনশনে অংশ নেয়া মো. খালিদ বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছি। আপনারাও ঘরে বসে থাকবেন না। দাবি আদায়ে আমাদের সাথে কর্মসূচিতে যোগ দিন। আমাদের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন। তারপরেও আমরা দাবি আদায়ে অবিচল।আমরা দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরবো না

এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে অনশন পালন করার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ আট বছর যাবত এই দাবি সরকারের কাছে পেশ করলেও সরকার কেন এখনো আমাদের এই দাবিটি কেন মানছে না তা আমাদের বোধগম্য নয় । আমাদের শিক্ষা জীবনে অনার্স মাস্টার্স মিলিয়ে প্রায় ৩৫ বছর দেশের বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের মাস্টার্স ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। চাকরিতে বয়স ৩৫ না থাকার কারণে বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা একাডেমিক পড়াশোনার মনোযোগী না হয়ে শুধুমাত্র চাকরি নামক প্রতিযোগিতার জন্য পড়াশোনা করছে। যার ফলে মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন হচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।