সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০তম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে করার দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন শিক্ষকরা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এমনকি মন্ত্রণালয়ও শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে আন্তরিকতা দেখাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে সরকার প্রধান শিক্ষকদের ১১তম এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড দিতে সম্মত হয়। কিন্তু না মানতে নারাজ শিক্ষকরা।

সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের বেতনের পার্থক্য তিন ধাপ। তাদের দাবি ছিল প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেড। প্রধান শিক্ষকরা ১১ তম গ্রেড হলে তাদের দাবি ১২ তম। আর প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে পৌঁছলে আমাদের ১১তম গ্রেড দিতে হবে। কিন্তু খসড়া বিধিমালায় সেই দাবির প্রতিফলন নেই।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০তম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেড করার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষকরা।

গতকাল শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনপ্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র মো. বদরুল আলম মুকুল।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ঐক্য পরিষদের এক দফা দাবি- প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১গ্রেড আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে। আন্দোলনের পাশাপাশি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে। ঐক্য পরিষদকে শক্তিশালী করতে জানুয়ারী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করতে হবে। শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রত্যেক বিভাগে বিভাগীয় সম্মেলন, ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় নজরুল ইসলাম মিলনায়তন বংশাল ঢাকায় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও আগামী ৩০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। স্ট্যাটাসে তিনি বিষয়গুলো নিয়ে সকলের দিক-নির্দেশনা, পরামর্শ ও মতামত প্রত্যাশা করেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।