গ্রেড পরিবর্তন ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, পুলিশের বাধায় ও লাঠি চার্জে শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করতে পারেননি তারা। আগামী ১৩ নভেম্বরে মধ্যে ১০ম গ্রেড ও সহকারীদের ১১তম গ্রেড না দিলে আসন্ন প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং পরে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ মহাসমাবেশকে ঘিরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত ২৫ শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। এতে শিক্ষকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, আন্দোলনের প্রধান মুখপাত্র ও রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকার ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদরুল আলমকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি। গেন্ডারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককেও একই কারণে শোকজ করা হয়েছে। পুরানা ঢাকার সুরিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষককে গ্রেড পরিবর্তনের আন্দোলনে অংশ নেয়ার দায়ে শোকজ করা হয়েছে।
এর আগে প্রধান শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার দাবিতে গত ১৪ই অক্টোবর সারা দেশের ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরদিন ১৫ অক্টোবর পালন করা হয় তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বাদ রাখেন শিক্ষকরা। ১৬ অক্টোবর এসব বিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এরই অংশ হিসেবে গত ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে যান শিক্ষকরা।
জাকির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তন বিষয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। প্রধান শিক্ষকদের ১১তম, সহকারী প্রধান শিক্ষক ১২ ও সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তাই আন্দোলন না করে শিক্ষকদের ক্লাসে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।