নীলফামারী সংবাদদাতা; জেলার জলঢাকায় এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষককে ফ্লিমি স্টাইলে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

  • আজ মঙ্গলবার (০৯ জুন ২০২০) দুপুরে এ ঘটনায় ওই প্রধান শিক্ষক বাদী হয় ৮ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন।

অভিযোগকারী শিক্ষকের নাম অনিল চন্দ্র রায়। তিনি জলঢাকা পৌরসভার দুন্দীবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

  • থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গতকাল ৮ জুন সোমবার দুপুরে স্কুলের কাজে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে আসেন প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র রায়। কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথ উপজেলা সড়ক ওৎ পেতে থাকা কয়কজন যুবক তাকে জোরকরে মাইক্রাবাস তুলে নিয়ে এবং একপর্যায় তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চুপ থাকতে বলে। একসময় মাইক্রাবাসটি উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের একটি অপরিচিত বাড়ীত থামায় এবং তাকে জোর করে বাড়ীর ভিতর নিয়ে গিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ের সাথে কোন প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ২০ মিনিটের মধ্যে বিবাহের কাজ সম্পন করে।

অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আরও জানায়, পরবর্তীতে একজনের মোবাইল দিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে থানা এবং তার সহকর্মীদের চেষ্টায় সেখান থেকে উদ্ধার হয় ওই শিক্ষক।

  • এ বিষয় প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, আকস্মিক ফ্লিমি স্টাইলে আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে দেয়া হয়েছে যা সম্পুর্ণ বেআইনি। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয় জলঢাকা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি অভিযাগ পেয়েছি। দুপক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৯ জুন ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।