প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জামির হোসাইন নামে এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার পর তদবিরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আটক হওয়া ওই কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত রয়েছেন।

শুক্রবার সকাল ঝিনাইদহ জেলার আরাপপুরের সিটি কলেজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার সাথে আরো পাঁচজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

আটক অন্যরা হলেন- সদর উপজেলার গোপালপুর এলাকার অরুণ কুমারের ছেলে প্রশান্ত কুমার, বাড়ির মালিক আব্দুল মজিদ, শৈলকুপার রাণীনগর গ্রামের রোজদার মিয়ার ছেলে আল মাউন, একই উপজেলার সিদ্ধি গ্রামের এলাহি বক্সের ছেলে তাইনুল আলম, উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে হাসান ইকবাল ও রাণীনগর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে রিপন হোসেন।

জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়ার বাকিদের সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হলেও ইবির কর্মকর্তা জামিরকে আনা হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক নেতার তদবিরে তাকে মুক্তি দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

তথ্য মতে, চক্রটি ভুয়া প্রশ্ন ও উত্তরপত্র বিক্রি করতে ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ ব্যবহার করে আসছিল। গ্রুপ থেকে আসা এসব প্রশ্ন ও উত্তরপত্র বিক্রি করে তারা প্রার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অভিযানকালে ভুয়া প্রশ্ন ও উত্তরপত্র বিক্রির ৬০ হাজার নগদ টাকাও জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গাীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় প্রতারণার মামলা হয়েছে। তবে ইবির কর্মকর্তা জামিরুলকে আটক করে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।