নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; প্রাথমিক শিক্ষার আওতা বাড়িয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ। এ নিয়ে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি।প্রস্তুতি হিসেবে সারাদেশের ৫৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা চালু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু শিক্ষা আইন ২০১৯-এর খসড়ায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর হিসেবে ধরা হয়েছে। এই আইন পাস হলে প্রাথমিক শিক্ষা আর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার সুযোগ থাকবে না

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে চলতি মাসের ১২ ফেব্রুয়ারি  শিক্ষা আইন ২০১৯-এর খসড়া নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ৫৮টি ধারাসংবলিত খসড়া পর্যালোচনা করা হয়।শিক্ষা আইন ২০১৯-এর খসড়ার ৯ ধারার ২(ক) উপধারায় বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারণ বা পুনর্নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত হবে মাধ্যমিক স্তর। (খ) উপধারায় বলা হয়েছে, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্তর। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর ৫ নম্বর পৃষ্ঠায় প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে আট বছর অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাকাঠামোয় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর হিসেবে বিবেচিত হবে।

এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষা আইনের খসড়া যেভাবে আছে সেটা পাস হলে তা হবে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। আর সে লক্ষ্যেই সবার সম্মতিতে শিক্ষানীতিতে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে নতুন আইন পাস হলে প্রাথমিক শিক্ষা আর অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করার সুযোগ থাকবে না।

মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষা আইনের একটি খসড়া পেয়েছি। তা আরো যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর নিয়মানুযায়ী তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

শিক্ষা আইনের খসড়ার ৩০ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে অভিভাবকদের সম্মতিতে স্কুলের আগে বা পরে নীতিমালা অনুযায়ী অতিরিক্ত ক্লাস করাতে পারবেন। তবে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ গণ্য হবে না। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা যাবে না।

আমাদের বাণী ডট কম/২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০/দপিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।