জাতীয় করণের এক দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থধান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গত রোববার এই আন্দোলন শুরু হয়। বুধবার চতুর্থ দিন পর্যন্ত আন্দোলনে অংশ নেওয়া ১১ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থ শিক্ষকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের চতুর্থদিন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। দাবি আদায় না হ্ওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এর আগে তবে গত ১৮ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের কোনো প্রস্তাব আপাতত বিবেচনা করার সুযোগ নেই।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষকরা জানান, সরকারি হয়নি এমন চার হাজার ১৫৯টি স্কুল রয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে প্রকৃত তথ্য না দেওয়ায় এসব স্কুল সরকারি হয়নি বলে দাবি করেন তাঁরা। শিক্ষকরা জানান, সরকারিকরণের প্রক্রিয়ার সময় রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করায় তাঁরা বেতন-ভাতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিফিন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা। তারপরেও এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন বলে দাবি করেন অবস্থান কর্মসূমিতে থাকা শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা আরো জানান, তাদের অনেকেরই চাকরিতে প্রবেশের বয়স অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। অধিকাংশ শিক্ষকের অন্যত্র চাকরির আবেদনের সুযোগ নেই। তাই, বাদপড়া ৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে শিক্ষকদের দুরাবস্থা থেকে মুক্তি দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন, বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মামুনর রশিদ খোকন, মহাসচিব মো. কামাল হোসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফর ইকবালসহ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।