প্রাথমিক শিক্ষকদের সাথে প্রায় আট বছর চাকুরি করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- তাঁদেরকে আন্তরিকভাবে সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে পরিচালনা করলে তাঁরা আন্তরিকভাবেই দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মর্যাদা দিলে জাতি এগিয়ে যাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব স্যার কিছুদিন আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে শিক্ষকদের দাবির প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। ফেরত এসে ভালো হয়েছে। শিক্ষকদের কাঙ্ক্ষিত চাহিদার আলোকে হয়তো এবার প্রস্তাব যাবে এবং সচিব স্যারের সুযোগ্য নেতৃত্বে শিক্ষকদের গ্রেড ও মর্যাদা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে।

শিক্ষার মানোন্নয়নে অবশ্যই শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা যারা আজ চাকুরি করছি সবাই প্রাথমিক শিক্ষকের প্রথম আনুষ্ঠানিক ছাত্র ছিলাম। আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হোসেন স্যার, হরলাল রায় স্যার, শরৎ স্যার, পাপিয়া গাঙ্গুলী ম্যাডাম ও আলী রেজা স্যারের কথা এখনও ভুলি নাই। তাঁদের ভালোবাসার প্রতিদান কখনও দেওয়া সম্ভব নয়।

কোন শিক্ষককে রাস্তায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা ব্যক্তি কোন না কোন শিক্ষকের ছাত্র ছিলেন। ঐ ছাত্রটিকে হয়তো আমার শিক্ষকবৃন্দ সঠিক শিক্ষা দিয়ে সুনাগরিক তৈরি করতে পারেন নাই। তাই শিক্ষকের পিঠে লাঠির আঘাতে জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন। শিক্ষকের অপমানে শিক্ষা কর্মকর্তা হিসাবে নিজেকে অপমানিত বোধ করছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।