বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদেও প্রশ্নফাঁস বন্ধ না হওয়া উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সংগঠনটি মনে করছে, সরকারের তিন মেয়াদেও প্রশ্নফাঁস নিয়ন্ত্রণ করতে না শাসন ব্যবস্থা দুর্বলতা এবং সুশাসনের অভাব।

রোববার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর ভিপি নুরুলহক নুর বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ে এটাই আমাদের প্রথম কিংবা নতুন আন্দোলন নয়, আমাদের আগেও অনেক ছাত্রসংগঠন এসবের প্রতিবাদ করেছে। এসময় তিনি শুরু থেকে প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়াকে দুর্বল শাসন ব্যবস্থা এবং সুশাসনের অভাব বলে উল্লেখ্য করেন।

এরআগে প্রশ্নফাঁস বিরোধী আন্দোলনে তাদের উপর হামলার বিষয় তুলে ধরে নুর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নফাঁস নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা সরকারি ছাত্রসংগঠনের হামলার শিকার হয়েছি। যেই প্রশ্নফাসঁ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে এবং বিতর্কিত পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নতুন পরীক্ষা দিয়েছে। এসময় তিনি সরকারি সকল নিয়োগে পিয়ন থেকে ফাস্ট ক্লাস পর্যন্ত টাকার বিনিময়ে ক্ষমতসীনদের লোকদের কাছে জিম্মি বলেও মন্তব্য করেন।

নুরুলহক তার বক্তব্যে সরকারি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষের প্রতি অতিদ্রুত প্রশ্নফাঁস নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।

এসময় মানববন্ধন থেকে ৩ টি দাবি তুলে ধরা হয়:
১. প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দুই ধাপের পরীক্ষা বাতিল করা।
২. প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা।
৩. প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের সরকারি চাকরিতে অযোগ্য ঘোষনা করা।

মানববন্ধনের সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, সকল পাবলিক পরীক্ষা পিএসসির অধীনে নিয়ে যেতে হবে। যাতে করে ফাঁস নিরসনে কার্যকর ভুমিকা নেওয়া সম্ভব হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।