গতকাল ১০/১২/২০১৯খ্রি. নোয়াখালী জেলার সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা হুমায়ূন কবির স্যারের তুচ্ছতাচ্ছিল্য ( তুই একটা মিথ্যাবাদী, তুই একটা চোর, তুই অযোগ্য প্রধান শিক্ষক, তোর উপজেলা শিক্ষা অফিসার একজন ঘুষখোর, তুই তাকে ঘুষ দিয়ে পদ বাড়ানোর ধান্দা করছস ইত্যাদি ইত্যাদি) আচরণে সোনাইমুড়ী উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ছনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন মানষিকভাবে অসুস্থ হয়ে জরুরী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

একই সাথে এধরনের অনৈতিক আচরণের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্মরন করিয়ে দিচ্ছি যে,দুই বছর আগে সহকারি জেলা শিক্ষাকর্মকর্তা মহোদয় থানারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে সহকারী শিক্ষক মনির হোসেনকে চরম অপমান ও মানষিক নির্যাতন করার ১ সপ্তাহ পরে নবীন শিক্ষক মনির হোসেন মৃত্যুবরণ করেন।

প্রতিবন্ধী শিক্ষক জসিম উদ্দিন তাঁর মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ৬ দিন পর স্ট্রোক করে মারা যান।

শিক্ষাকর্মকর্তার আচরণে

শিক্ষকদের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য আচরণের আরও যথেষ্ট প্রমান রয়েছে।২০১৮ সালে শিক্ষকদেরকে জারজ সন্তান বলে গালি দিলে শিক্ষকদের চরম ক্ষোভের মুখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় তিনি ক্ষমা চেয়ে জানুয়ারি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বদলী হয়ে যাবেন কথা দিলেও অদ্যাবধি বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন।

ট্রেনিং চলাকালীন একজন শিক্ষিকা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি না দিয়ে চেপে ধরতে বলেন এবং ট্রেনিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন।

উনার মতো দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন অশোভন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট আকুল আবেদন সঠিক তদন্ত করে নোয়াখালীর শিক্ষকদেরকে এই অত্যাচার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

লেখক: প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সামসুদ্দিন মাসুদ-এর ফেসবুক থেকে নেয়া।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।