শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা; জেলার ফকিরহাটে বাংলাদেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন কেন্দ্রের সেড নির্মানের কাজে ও সম্প্রতি দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন কেন্দ্রে (২য় পর্যায়ের প্রকল্পের) ৪০ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়েও কোটি টাকার দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায় গত চলতি বছরের ১২,১৫ ও ১৬ ই মার্চ ৩টি নোটিশের মাধ্যমে সর্বমোট ১৩টি কাজে প্রায় ৪০ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করেন উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম।

তথ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রতিটি কাজ থেকে ৫ থেকে ১০ % টাকা গ্রহন করেন বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট থেকে। কেননা রেড কোড ক্রয় বিক্রয়ের ফলে অসাধু গুটি কয়েক ঠিকাদার টাকার বিনিময়ে এগিয়ে যায় অনেকটা। তবে মুল্যায়নের আগে প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন গত সপ্তাহে।

জানা যায়, নতুন দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা আবারো সেই টেন্ডার নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বানিজ্য। একটি মহল নতুন করে আবারো শুরু করেছে দেন দরবার । এদিকে সঙ্কা থেকে যাচ্ছে এ কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আদৌ কি বাস্তবায়িত হবে এই কাজটি,নাকি এভাবেই নাটকীয় ভাবে কাজ চলবে হরহামেশাই,নাকি আগের টেন্ডার গুলোর মতই হবে এই টেন্ডার। অনুসন্ধানে জানা যায়,গত ১বছর আগে একই প্রকল্পে প্রায় ২কোটি টাকার খাবারের টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার এই খামারে এখনও একটি টাকারও খাবার দিতে পারেনি বলে জানা যায়। ৬মাস আগে দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামারে ১০ কোটি টাকার মহিষ কেনার টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল । এখনও পর্যন্ত ঠিকাদার একটি মহিষও খামারে দিতে পারেনি। খামার কর্তৃপক্ষ সেড নির্মানের টেন্ডার দিলেও সেড যেখানে নির্মাণ করবেন সেই জায়গা এখনও অধিগ্রহণ হয়নি। এমতাবস্থায় ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ঠিকাদাররা।

একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, তাদের দাবী শতভাগ সচ্ছতার সহিত দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামারের সকল টেন্ডার দেওয়া হোক। অন্যথায় এসকল দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করে ভাল কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করে এই খামারকে রক্ষা করা। এভাবেই যদি চলতে থাকে তবে দেশের এক মাত্র মহিষ প্রজনন খামারটি ধ্বংষ হয়ে যাবে অচিরেই। সাধারণ ঠিকাদাররা দাবী করে বলেন,অনতিবিলম্বে এই সেড নির্মান কাজের টেন্ডার বাতিল করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রি-টেন্ডার করে সকল সাধারণ ঠিকাদারদের রক্ষা করার আহবান জানান।

এব্যাপারে মহিষ উন্নয়ন খামারের মহাপরিচালক আব্দুল জব্বার শিকদারের মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আমাদের বাণী ডট কম/২৩ মে ২০২০/ভিপিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।