ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা;  জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

টানা কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, চরমাধদিয়া, ডিক্রিরচর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ সব এলাকার পানিবন্দি মানুষরা তাদের গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন শহরের বেড়িবাঁধের উপর।

এ ছাড়া, পানির স্রোতে ফরিদপুর-সদরপুরের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলায় আগাম বন্যার পানি প্রবেশ করায় কয়েক হাজার ফসলি ক্ষেত ও সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।

এ দিকে পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাড়াও সদরপুর চরভদ্রাসন ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও কয়েকটি গ্রাম। এই চারটি উপজেলার ৩৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে গোখাদ্য ও বিশুদ্ধ খবার পানির সংকট।

অপরদিকে, জেলার সদরপুর উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় আকোটেরচর ও ঢেউখালী ইউনিয়নে নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও চরাঞ্চলের ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এলাকার নলকূপ ডুবে যাওয়ার কারণে বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যায় বোনা আউশ, আমন ধান, আমন বীজ তলা, শাক-সবজির মাঠ তলিয়ে গেছে। বন্যাকবলিত পরিবারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য গরু-ছাগল নিয়ে স্কুল, উঁচু রাস্তায় ও বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার জানান, শনিবার ৩টি ইউনিয়িনের প্রায় ১ হাজার পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আমাদের বাণী ডট কম/১৮  জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।