বগুড়া সংবাদদাতা; লাগাতার বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সারিয়কান্দি ও ধুনট উপজেলার নতুন নতুন চর এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ।

মঙ্গলবার চরের বহু মানুষ আগাম সতর্কতা হিসেবে বাড়িঘর ছেড়ে যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে বলে সরেজমীনে দেকা গেছে।

  • বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসের তথ্যমতে সারিযাকান্দিতে ৭৯ টি ছোট চড় চরের মধ্যে ৭ টি ইউনিয়নের ২৫ টি চরের ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, চরাঞ্চলের মানুষ গৃহপালিত পশুসহ নৌকায় করে বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে ছুটছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের দিকে ।

ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে ১২ টি গ্রামের বহু ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এই ইউনিয়নের আউস ধান, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসলে ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম আজাদ।

  • সারিয়াকান্দি চরগুলোর ৫০২০ হেক্টর পাট, ২৩৭৭ হেক্টর আউশ, ৫৬ হেক্টর আউশ বীজতলা, ১৫ হেক্টর জমির ভূট্টা , ২ হেক্টর জমির মরিচ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী মোঃ, মাহবুবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

  • সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম জানান, সারিয়াকান্দি সদরের নি¤œাঞ্চলও বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলারর চন্দনবাইশা, কাজলা , কামালপুর, চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুরসহ বেশ কয়েকটি চরের পরিবার চর ছেড়ে সহায সম্বল নিয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বনায় এ পর্যন্ত ১৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/৩০জুন ২০২০/পিপিএম

সৈয়দপুরের বিজ্ঞাপন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।