রাজবাড়ীর কালূখালী পয়েন্টে পদ্মার গতকাল রবিবার বিকেল থেকে স্থির অবস্থায় আছে। তবে শনিবার রাতভর পানি বাড়তে থাকায় পানি বন্ধি মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০ হাজারের অধিক হয়েছে। । পানিবন্ধি মানুষদের অভিযোগ এখন পর্যন্ত তারা কোন ত্রান সামগ্রী পায়নি। বিশুদ্ধ পানি সংকটে তাদের জীবন হাহাকার অবস্থায় ।

কেউ এ খোঁজ নিতে আসেনা।। মাধবপুর,হরিনবাড়ীয়া,লস্করদিয়া,কৃষননগর,ভবানীপুর,হরিনাডাঙ্গা,চররাজপুর,বিজয়নগর,নারানপুর,আলোকদিয়া,বল্লভপুর,কলসতলা, ভাগলপুর,বাগঝাপা,গংগানন্দপুর,কামিয়া,কালুখালী, পাড়াবেলগাছী ও গতমপুর গ্রামে পানি বৃদ্ধি স্থির অবস্থায় আছে। এ এলাকার প্রায় মানুষই কৃষিজীবি হওয়ায় তাদের গবাধী পশু ও হাসমুরগী নিয়ে বিপাকে পরেছে।

পানি বৃদ্ধির কারনে রতনদিয়ার ইউপির বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়, হরিনবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,কৃষ্ণনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,আঃ কুদ্দুস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হরিনাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতী কমে গেছে।পানিবন্ধি থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারছে না। যারা আসছে তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবক ও শিক্ষকরা। এরপরও কতৃপক্ষের নির্দেশ না থাকায় পাঠদান বন্ধ করতে পারছে না শিক্ষকরা ।

পশ্চিম হরিনবাড়ীয়ার কাদের দড়ি বললেন, বন্যায় ফসল বাড়ী ঘর তলিয়ে গেলেও এখনো বণ্যার্তরা কোন প্রকার ত্রান সামগ্রী পায়নি। এ পর্যন্ত কেউ তাদের কোন খোঁজ নিতে আসেনি। খাদ্য আর পানি সংকটে দিন কাটছে বণ্যার্ত মানুষদের। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।