ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ মে ২০২০) চাইল্ড রিসার্চ হেলথ ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে। তারাই সর্বপ্রথম এ জিনোম সিকোয়েন্স করেছে।

এই গবেষণার ফলে এখন থেকে বিদেশি কোনো সাহায্য ছাড়াই দেশি বিজ্ঞানিরা করোনার গতি প্রকৃতি বুঝতে পারবেন। জানতে পারবেন বাংলাদেশে আক্রমণ করা ভাইরাসটি আসলে কতটা শক্তিশালী। বুঝা যাবে এর সক্ষমতা ও অক্ষমতা।

ফলে উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশের বিজ্ঞানিরাও করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন আবিষ্কারের গবেষণা করতে পারবেন। একইসঙ্গে গবেষণা করতে পারবেন নতুন ওষুধ নিয়েও।

গেল বছর ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়তো ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না।

এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। ফলও দিতে হচ্ছে তাদের। কারণ সংক্রমণ সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর তালিকার মাঝেই নেই চীন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (১২ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ছয় হাজার ৮৪৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ছয় হাজার ৭৭৩টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৩৬ হাজার ৬৩৮টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৯৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১১ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫০-এ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৫ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ১৪৭ জন।

আমাদের বাণী ডট কম/১২ মে  ২০২০/পিপিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।