সম্প্রীতির বান্দরবানে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর হত্যাকান্ডের ঘটনায় কিছুটা অশান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে  উদ্ভেগ প্রকাশ করেছেন আডভেঞ্চার আড্ডা গ্রুপের এডমিন হাদি মুন, এডভেঞ্চার ক্লাব বাংলাদেশের এডমিন মোঃ ইউসুফ রানা, ক্যান্টমেন্ট বাইকার ক্লাবের মডারেটর মোঃ জাহিদুল ইসলাম, অন্বেষা ক্লাব মডারেটর জাকারিয়া পারভেজ, মুন্সিগঞ্জ টাইগার’স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মেহেদী হাসান সৈকত।

তারা আমাদের বাণী কে জানান, তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবান জেলা কে তারা সব সময় নিরাপদ মনে করেন। তাই এই পর্যন্ত তারা বাংলাদেশের সর্ব্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ তাজিংডং, কেওক্রাডং, বগালেক সহ বান্দরবানের থানছি ও রুমা উপজেলার দূর্গম সব পথ পাড়ি দিয়েছেন নিশ্চিন্তে। কিন্তু এবারের এই ভিন্ন প্রেক্ষাপট তাদের মধ্যে মারাত্মক রকম আতংকের সৃষ্টি করেছে।আডভেঞ্চার আড্ডা গ্রুপের এডমিন হাদিমুন আশংকা প্রকাশ করে বলেন শতাদিক বারের বেশী সময় বান্দরবানের বিভিন্ন একালার পাহাড়ে নিরাপদ ভ্রমন করেছি কিন্তু সম্প্রতি ধারাবাহিক হত্যাকান্ড গুলো আমাদের গ্রুপের সাথে সংশ্লিষ্ট বেশীরভাগ ভ্রমন পিপাষুদের মধ্যে আতংকের জন্ম দিয়েছে।

এইবিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার আমাদের বাণী ডট কম প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপচারীতায় বলেন, এবারের পবিত্র ঈদের ছুটিতে বান্দরবানে আসা পর্যটকদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরি মধ্যে সাত উপজেলার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের সম্মনয়ে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,   যদিও যে সমস্ত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড গুলো ঘটেছে সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা নেই বললেই চলে,তবুও আমরা বিষয়টিকে আমলে নিয়েছি।

আতংকিত বা বিচলিত হবার মত কোন কারণ নেই জানিয়ে জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন সম্প্রীতির বান্দরবানে যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করার অপপ্রয়াস চালিয়েছিলো পুলিশের চৌকস বাহিনীর একের পর অভিযানে তারা এখন লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।