ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমার বাড়ী আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয়ী ব্যাংকের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমন্বয়কারী মোকাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কর্মীকে মোবাইল ফোনে উত্যক্ত, চরিত্র হনন, বাধ্যতামুলক চাকুরীতে অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর নেয়া সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী ঐ নারী কর্মী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমন্বয়কারী মোকাম্মেল হোসেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সুপারভাইজার আসাদুজ্জামান রুবেল ও কম্পিউটার অপারেটর মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

ভুক্তভোগী নারী কর্মী মারানা আক্তার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমার বাড়ী আমার খামার প্রকল্পের অধীনে ভানোর ইউনিয়নের মাঠ সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযোগ উঠা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমন্বয়কারী, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সুপারভাইজার ও কম্পিউটার অপারেটরের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কর্মরত। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমন্বয়কারী মোকাম্মেল হোসেন বিনা কারণে ওই নারী কর্মীর বেতন ভাতা বন্ধ রাখা, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরে বাধা প্রদান, টাকা হাতিয়ে নেয়া, বিনা কারণে মোবাইলে উত্যক্ত, মিথ্যা কথায় চরিত্র হননের অপচেষ্টা, হুমকি দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়াসহ মোট ১৬টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগের কপিতে। ইারীকর্মী মারানা মুঠোফোনে জানান, গত ৪ মাস ধরে উপজেলা সমন্বয়কারী মোকাম্মেল হোসেন আমার শরীর নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে আসছেন। অফিসে একা পেলেই আমার শরীর নিয়ে উল্টা-পাল্টা কথা বলেন। বিয়ষটি আমার শ্বশুড়বাড়ী পর্যন্ত গড়িয়েছে। এছাড়াও আমাকে চাকুরীচ্যুত করতে ঋণ অনুমোদন হলেও সময়মত প্রদান না করাসহ নানা ভাবে হয়রানী করছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সুপারভাইজার ও কম্পিউটার অপারেটর কর্মকর্তার ওই কাজে সহায়তা করছে। তিনি আরও বলেন, আমি চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম।

বিষয়টি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি আমাকে অভিযোগ প্রদান করতে বলেন। তাই অভিযোগ দিয়েছি। সুষ্ঠু বিচার না পেলে চাকুরী ছেড়ে দিবো।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুর আলম সুমন জানান, নারী কর্মী মারানা আক্তারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানতে চাইলে আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয়ী ব্যাংকের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমন্বয়কারী মোকাম্মেল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ওই নারীর কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মুঠোফোনে জানান, মারানা নিয়মিত অফিস না করেই বেতন উত্তোলনে চেষ্টা করে। নিজের বোনের ভেবে অনেকবার বুঝিয়ে তাকে, কিন্তু শোনেনি। এখন উল্টো আমিসহ আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি আরও বলেন, তিনি বিষয়টি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করছেন। আমাদের সবাইকে ডেকেছেন। সকলে মুখোমুখি হলে প্রমাণ হবে কোনটা সত্য,আর কোনটা মিথ্যা ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।