আলেয়া সারোয়ার ডেইজী। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই জনপ্রতিনিধি সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হন। এবার ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়া মী লীগের সমর্থনে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রার্থী হিসেবে একজন জনপ্রতিনিধি কতটা সৎ, যোগ্য– ভোটাররা যেন সেটা বুঝতে পারে সেজন্য প্রার্থীদের যাবতীয় তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দিতে হয়। জমা দেন ডেইজীও।

আলেয়া সারোয়ার ডেইজীর হফলনামায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের হলফনামায় তিনি যে পরিমাণ সম্পদের কথা উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের হলফনামায়ও হুবহু সেটাই উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ হলফনামায় তার দাবি, এই পাঁচ বছরে তার এক টাকাও কমেনি, আবার বাড়েওনি।

২০১৫ সালের হলফনামা অনুযায়ী, আলেয়া সারওয়ার ডেইজী এমএ পাস। তিনি একজন গৃহিণী। তার বছরে আয় ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে ২৪ লাখ এবং শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আসে ৩৪ লাখ টাকা। এছাড়া তার স্বামীর বেতন থেকে বছরে আসে ৩৪ লাখ টাকা।

২০১৫ সালের হলফনামা থেকে আরো জানা যায়, ডেইজীর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল নগদ এক লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ৩৪ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, এক লাখ টাকার আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন এবং বাসার তৈজসপত্র ৫০ হাজার টাকার। ২০১৫ সালের হলফনামার এ সম্পদের পরিমাণ হুবহু ২০২০ সালের হলফনামায় রেখেছেন ডেইজী।

২০১৫ ও ২০২০ সালের হলফনামায় যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হলো, ডেইজীর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। অর্থাৎ, তার কৃষি/অকৃষি জমি কিংবা দালান/আবাসিক/বাণিজ্যিক বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট নেই। এসব না থাকলেও ‘বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য’ খাত থেকে প্রতি বছর ২৪ লাখ টাকা ভাড়া তোলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী!

ভাড়া দেয়ার মতো কিছু না থাকলেও কীভাবে বছরে ২৪ লাখ টাকা ভাড়া তোলেন, সে ব্যাপারে আলেয়া সারোয়ার ডেইজী বলেন, ‘বাড়ি তো আমার বাবা দিছেন। যে বাড়িতে থাকি, ওইটাই তো আমার।’

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, আপনার কোনো বাড়ি নেই। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তো হলফনামা নিজে লেখি না, আইনজীবীদের দিয়ে লেখাই। উকিলকে আমি আমার বিস্তারিত দিয়ে দিছি। অবশ্যই এটা আমার রিভিউ করতে হবে। আমার বাড়ি নাই, ঘর নাই, তা তো হয় না। এগুলো তো আছেই। আমি না দেখে কথাটা এক্সাক্টলি বলতে পারতেছি না। আমাকে আগে দেখতে হবে জিনিসটা।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।