এক্ষত্রে দুই নম্বরে আছে পাকিস্তান আর ৩ নম্বরে ভারত। তবে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শীর্ষ ৩০ শহরের ২২টিই ভারতে। দূষিত রাজধানী শহরের ২য় অবস্থানে আছে ঢাকা আর প্রথম দিল্লি। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আইকিউ এয়ারভিজুয়্যালের দেয়া উপাত্তে জানা গেছে এই তথ্য। -বিবিসি

সপ্রতি ভারতের উত্তর অংশ ভয়াবহ বায়ুদূষণের সঙ্গে লড়াই করছে। এতোদিন ভাবা হতো চীনের রাজধানী বেইজিংই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। কিন্তু অধুনা ডাটা সে ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে। বিশ্বের সবগুলো দূষিত দেশই দক্ষিণ এশিয়ায়।নগরীগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। দিল্লির বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে সূ² বস্তুকণার (পার্টিকেল ম্যাটার বা পিএম-২.৫) পরিমাণ ১১৩.৫, ঢাকায় ৯৭.১ ও কাবুলে ৬১.৮। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই হুমকিস্বরূপ। কারণ, প্রতি ঘনমিটারে পিএমের স্বাভাবিক মাত্রা ১ থেকে ১২ পর্যন্ত। সবচেয়ে দ‚ষিত দেশের তালিকায় গড়ে পার্টিকেল ম্যাটার বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ বাংলাদেশে ৯৮, পাকিস্তানে ৭৫, ভারতে ৭২, আফগানিস্তানে ৬২ এবং বাহরাইনে ৫৯। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুসারে পিএম-২.৫ এর স্কেলে ০-৫০ পর্যন্ত ভালো, মোটামুটি ও স্পর্শকাতর। এরপর ৫০ থেকে ১৫০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, ১৫০-২৫০ মাত্রাকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর ও পরবর্তী মাত্রায় বায়ু দূষণকে বিপর্যয় হিসেবে ভাবা হয়।

এই তালিকা তৈরী করা হয়েছে প্রতিবছর গড় দূষণের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশের দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে ঘনবসতিকে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। নগরাঞ্চলের জনসংখ্যঅর সঙ্গে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর কাজ করে। এগুলো হলো যানবাহন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ¦ালানী এবং ভারী শিল্প। চীর এবং ভারতীয় উপমহাদেশের পার্থক্যের একটি বড় জায়গা হলো, এই অঞ্চলে শরৎকালে ফসল উত্তোলনের পর কৃষকরা ফসলের বাড়তি অংশ পুড়িয়ে দেন। যা বাতাসে সুক্ষ কণার পরিমাণ বাড়ায়। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল আর ভারত পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে এই ঘটনা বেশি ঘটে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।