নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া এলাকার মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় মানসম্মত শিক্ষার উন্নয়নে ২০১৫ সালে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাক‌সেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পে মডেল শিক্ষক হিসেবে সরকার ৫ হাজার ২০০ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক নিয়োগ দেয়।  ৩ বছর মেয়াদি ওই প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এখন তারা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছেন।

গতকাল সোমবার (০২ মার্চ ২০২০) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে করি স্থায়ী করার দাবিতে দাবিতে বাংলা‌দেশ অ‌তি‌রিক্ত শ্রেণী শিক্ষক (এসিটি) ঐক্য প‌রিষদ এর ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন তারা।

বাংলা‌দেশ অ‌তি‌রিক্ত শ্রেণী শিক্ষক (এসিটি) ঐক্য প‌রিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে চাকরি স্থায়ী করার দাবিসহ আরও কয়েকটি দাবিও জানান তারা।

অবস্থান কর্মসুচীতে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুপা‌রিশ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসের পরও গত ২৬ মাসেও বিনা বেতনে পাঠদান করেও আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। গত বছর আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, তার ভিত্তিতে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু আজও সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি। তাই আজ সোমবার থেকে আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আ‌ন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দি‌চ্ছি।

আন্দোলনরত সেকায়েপ শিক্ষকরা বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মডেল শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি প্রকল্প শেষে চাকরি স্থায়ীকরণ এবং এ‌সি‌টি ম্যানু‌য়েল ৩৬ ধারায় ও এ‌সি‌টি সফল কম্পোনেন্ট হিসেবে বিনা শর্তে পরবর্তী প্রোগ্রামে স্থানান্তরের কথা থাকলেও তার কোনোটাই রক্ষা করা হয়‌নি।

তারা জানান। , অভিজ্ঞতা ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষায় বিশেষ অবদান এবং মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বিনা শর্তে দ্রুত এসইডিপি প্রোগ্রামে নিয়োগদান করা হোক। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মহান স্বাধীনতার মাসে এ ব্যাপারে সরাসরি আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আমাদের বাণী ডট কম/০৩ মার্চ ২০২০/সিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।