কখনও নম্বরের প্রলোভন, কখনও প্রশ্ন দেখিয়ে আবার কখনও প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্ত:ত ১৪ ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্কে জড়িয়েছেন শিক্ষক। অবশেষে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্কের ভিডিও প্রকাশের পর বিষটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আপত্তিকর কর্মকাণ্ড চলাকালে ভিডিও করে শিক্ষকের মুখোশ উন্মোচন করেছেন এক শিক্ষার্থী। তিনি ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে ভিডিও জমাও দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৩ ছাত্রী লিখিতভাবে যৌন হয়রাণি ও ধর্ষণের মত গুরুতর অভিযো করেছেন। এনিয়ে তোলপাড় চলছে ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে। গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক হিন্দু শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়ায় শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ওই স্কুলের শিক্ষক হামিদুল ও শাহা আলম জানান, ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়নের হরশুয়া গ্রামের মৃত জগেন্দ্র নাথ রায়ের পুত্র কালা চাঁদ রায় ২০০৪ সালে গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কালা চাঁদ রায় বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশে ইরেজি বিষয়ে পাঠদান করান। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি গোদাগাড়ী বাজারের একটি কোচিং সেন্টারে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লম্পট শিক্ষক কালা চাঁদ তার পছন্দের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সহজ সরল ছাত্রীদের শ্লীলতাহানীসহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে কোচিং সেন্টারে একাকী পেয়ে শ্লীলতাহানী ঘটানোর সময় এক শিক্ষার্থী গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট ভিডিও চিত্র জমা দেয়। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী ১৩জন ছাত্রী মঙ্গলবার লম্পট ইংরেজী শিক্ষক কালা চাঁদয়ের বিচার দাবি করে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধাবার সকালে গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভায় ইংরেজি বিষয়ের সহকারি শিক্ষক কালা চাঁদ রায়কে বিদ্যালয় হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইতিপূর্বেও শিক্ষক কালা চাঁদ রায় এ ধরনের অপরাধের দায় স্বিকার করে স্কুলে মুচলেকা দেন । তিনি বার বার একই অপরাধ করায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।