ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা;  ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তা ৯ লাখ ৬ হাজার ৭৫২ জন। নতুন করে ২৮ হাজার ৪৯৮ জনের শরীরে নতুন করে বাসা বেঁধেছে করোনাভাইরাস। এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৩ জনের প্রাণ গেছে কোভিড-১৯-এ। সব মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার ৭২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভয়ঙ্কর সংক্রামক রোগে। তবে ৫ লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছে। এই সুস্থতার হার ৬৩% এরও বেশি।

করোনা সংক্রমণের হিসাবে রাজ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে শুধু সোমবারই ৬ হাজার ৪৯৭ জন নতুন করে কোভিড-১৯ এর কবলে পড়েছেন এবং ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে সবমিলিয়ে ওই রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ লাখ ৬০ হাজার ৯২৪ জনে।

সোমবার মধ্যরাত থেকেই পুনেতে ফের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে এবং ২৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কড়াকড়ি। কারণ, দেখা যাচ্ছে পুনে এলাকায় ৫৬০ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে, এর ফলে ওই শহরে মোট আক্রান্ত ২৯ হাজার ৬০০ জন।

সোমবার তামিলনাড়ুর কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৮ জনে। সেখানে গত এক দিনে আরো ৪ হাজার ৩৮২ জন করোনা পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়েছে। এর মধ্যে চেন্নাইয়ের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, প্রতিদিনই দ্রুতহারে সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে। দক্ষিণ তামিলনাড়ুর মাদুরাই করোনাভাইরাসের একটি বড় হট স্পট হয়ে উঠেছে।

এদিকে, কর্নাটকের মধ্যে বিশেষ করে বেঙ্গালুরুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বেঙ্গালুরু শহর ও শহরতলী এলাকায় আগামী এক সপ্তাহের জন্যে কড়া লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার কর্নাটকে নতুন করে ২ হাজার ৭৩৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং মারা গেছে ৭৩ জন। এর ফলে সেরাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার ৫৮১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে সেখানে। রাজ্যে মোট মৃত করোনা রোগী ৭৫৭ জন।

আসামেও ধীরে ধীরে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে ১ হাজার ১টি নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে ৫১৩ জন আবার গুয়াহাটির বাসিন্দা। আসামে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮০৭ জন করোনার কবলে পড়েছেন। যদিও সেখানে ১১ হাজার ৪১৬ জন সুস্থ হয়ে ওঠায় আপাতত সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৩৪৮ জন। শুধু গুয়াহাটিতে ৬ হাজার জনের শরীরে সংক্রমণের খবর মিলেছে।

এদিকে, গোয়া সরকার রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালের ২০ শতাংশ বেড করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে।

সূত্র : এনডিটিভি, এই সময়

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।