রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার শাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া গড়াই নদীর কোল ঘেঁষে গুচ্ছ গ্রাম সরেজমিন ঘুরে দেখা গেলো এমনি এক চিত্র। সেখানে রয়েছে বেশ কিছু ছিন্নমূল মানুষের বসবাস, যাদের জীবন চলার অবলম্বন বলতে উল্লেখ যোগ্য কিছুই নেই, অতি কষ্টে তাদের দিন কাটে, অপরের সাহায্য ছাড়া জীবন যাপন যেখানে আকাশ কুসুম কল্পনা। সেখানে ওয়েড একটি আর্তমানবতার সংগঠন তাদের ভাগ্য দূত হয়েতাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

২০১৫ সালে প্রথমত বি,এএন,এফ’র আর্থিক সহায়তায় ২০ জনের মধ্যে ১টি করে ভেড়া প্রদান করা হয়।ওয়েড’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে এর থেকে ইতিমধ্যে তারা সেই একটা ভেড়া থেকে ১০/১২ টি করে ভেড়া উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে, এবং সেগুলো বিক্রি করে বেশ লাভবানও হয়েছে।

ভেড়া অতি দ্রুত বর্ধনশীল ও বছরে দুবার একাধিক বাচ্চা দেওয়ায় ওই অঞ্চলের অনেকেই ভেড়া প্রতিপালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে, নতুন করে বিএনএফ-এর আর্থিক সহায়তায় ২০১৯ সালে আরও ৪০ জনের মাঝে ১টি করে ভেড়া প্রদান করা হয়েছে।

ওয়েড’র নির্বাহী পরিচালক খায়রুল হাসান মিন্টু জানান অত্র এলাকার মানুষ প্রায় সব সময়ই থাকে অবহেলিত, তাই তাদের জন্যে সামান্য কিছু করতে পেরে আমি নিজের কাছে আত্ববিস্বাসী হয়ে উঠছি, এটা এজন্যই যে সামান্য থেকেও অসামান্য হওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, এখানকার মানুষের বিশেষ করে চর এলাকার মানুষের জমিজমা নেই,তারা ইচ্ছা করলেই কিছু একটা করতে পারেনা, তাই আমার ইচ্ছা ও আশা এই ভেড়া পালনের মধ্য দিয়েই একদিন এই এলাকার পিছিয়ে পরা মানুষের ভাগ্য ফিরবে এবং সেটা ওয়েড’র হাত ধরেই। সুবিধা ভুগীদের ভাষ্য ভেড়া এমন একটা প্রাণী যা কিনা মানুষের ফসলের কোনো ক্ষতি করেনা,এরা দল বেঁধে চলতে ভালোবাসে, এবং বিস্তৃর্ণ ভুমি কিম্বা নদী পাড়ে গুল্মলতা ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকে।

পরিশেষে ওয়েড’র নির্বাহী পরিচালক খায়রুল হাসান মিন্টু বলেন, এমন মহতি উদ্যোগের পাশে এসে যদি সমাজের বৃত্তবানরা দাঁড়ান তাহলে এ সমাজে কেউ আর গরিব থাকবেনা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।